পিবিএ, নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলায় ছুটির দিনে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন রকম টেন্ডার বা কোটেশন ছাড়াই নাটোর যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পাঁচটি শিশু গাছ বিক্রি করেছেন ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডেপুটি কো অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম। আর এ বিষয় নিয়ে লালপুর উপজেলার আনাচে কানাচে চলছেসমালোচোনার ঝড়।
জানা গেছে, শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে লালপুরে অবস্থিত নাটোর যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ভিতরের বেশ কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দুটি স্থানে গাছ কাটার বড় বড় গর্ত দেখা গেছে। গাছ কাটার শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা শফিকুল স্যারের অনুমতিতে গাছ কেটেছি। টেন্ডার আছে কি নাই সেটা জানিনা। তারা আরো জানায় যে, ওই অফিসের কেয়ার টেকার উত্তম কুমারের মাধ্যমে নাটোর যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ডেপুটি কো অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম তার মহাজনের নিকট ১২ হাজার টাকায় পাঁচটি শিশু গাছ বিক্রি করে।
তবে শর্ত ছিল গাছ কেটে নিয়ে যেতে পারলে তার দাম পরিশোধ করা হবে। সেই মোতাবেক শুক্রবার (৩ মে) সরকারী ছুটির দিন হওয়ায় সকালে গিয়ে তারা গাছ কাটতে থাকে এবং দুটি গাছ কেটে বের করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে নাটোর যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ডেপুটি কো অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম জানান, প্রশিক্ষন কেন্দ্রের মসজিদের উন্নয়নের জন্য পাঁচটি মরা শিশু গাছ বিক্রি করা হয়েছে।
তবে গাছ বিক্রি করার সপক্ষে কোন রেজুলেশন, টেন্ডার,বা কোটেশনের কাগজ দেখাতে পারেনি। এ দিকে বিষয়টি জানা জানি হলে লালপুর উপজেলার সর্বত্র সমালোচোনার ঝড় বইছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। গত কয়েক মাস আগেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তার অনিয়ম নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও তিনি স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির সুপারিশে বহাল তবিয়তে আছেন। উল্টো সাংবাদিকদের বক্তব্য দেওয়ার জেরে এক কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মাসুদ রানা বলেন, এর আগেও এই কর্মকর্তার বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে আমরা খবর প্রকাশ করেছি। কিন্তু তিনি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে বহাল তবিয়তে আছেন। এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের গাছ বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না এবং কেউ তাকে এ বিষয়ে কিছু বলেন নি।
পিবিএ/এআই/হক