মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সিস্টেম হ্যাক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের দাবি এই কাজে রাষ্ট্রীয়ভাবে হ্যাকার নিয়োগ করেছে চীন। ট্রেজারি বিভাগের সিস্টেমে প্রবেশ করে কর্মকর্তাদের কর্মক্ষেত্রে এবং গোপনীয় কিছু নথিতে (আনক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট) প্রবেশ করেছে চীনের হ্যাকার গোষ্ঠী।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র। কোনো ভিত্তি ছাড়াই এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, হ্যাকিংয়ের এই ঘটনাটি ঘটেছে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আইনপ্রণেতাদের কাছে চিঠি দেয়ার পর সোমবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনা হয়। ঘটনাটিকে ‘বৃহৎ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, অভিযোগটি ‘অপমানজনক আক্রমণাত্মক বিষয়’, কেননা কোনো বাস্তব ভিত্তি ছাড়াই এমন অভিযোগ তুলেছেন তারা। অভিযোগটিকে নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
আইনপ্রণেতাদের কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয়ভাবে হ্যাকার নিয়োগ করে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে চীন।
ট্রেজারি বিভাগের দাবি, চীন-ভিত্তিক ওই হ্যাকার গোষ্ঠী বাইরের পরিষেবা প্রদানকারীদের ব্যবহার করে মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছে। এই পরিষেবা ব্যবহার করে কর্মীরা অফিসের বাইরে থেকে মন্ত্রণালয়ের সিস্টেমে ঢুকে কাজ করতে পারেন।
