ডাক্তার দম্পতির বাড়িতে বাসা বেঁধেছে ঘুঘুর পাখি

পিবিএ,রংপুর: বাংলাদেশে অতি পরিচিত পাখি ঘুঘু। আমাদের দেশে এই পাখি এখন গ্রামঞ্চলেই দেখা যায়। লোকালয়ের কাছে বাস করলেও এরা আড়ালে থাকে। কিন্তু এই ঘুঘু পাখি দুইটি সংসার পাততে ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে। লোকালয়ে মানুষের সাথে তারাও বসবাস শুরু করেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মোঃ শাখেরুল ইসলাম সবুজ ও কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা. জাকিয়া সুলতানা দম্পতির রংপুর ধাপ শ্যামলী লেনের ১৩ নম্বর বাসায় ব্যালকনি ফুলের টবে ঘর বেধে বসবাস করছে এই ঘুঘু। সেখানে ডিমও দিয়েছে বংশ বৃদ্ধি করার জন্য। ঘুঘুর ডাকে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশের পরিবেশ।

ঘুঘু পাখি দুইটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বাদামি পিঠ ও ডানায় পীতাভ তিলা । চোখ ফিকে লালচে বাদামি, চোখের পাতা ও চোখের গোলকের মুক্ত পট্টি অনুজ্জ্বল গাঢ লাল রয়েছে। কালচে ঠোঁট, পা ও পায়ের পাতা লালে মেশানো এবং নখর বাদামি। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন। তৃণভূমি, খামার, চাষের জন্য কর্ষিত জমি, রাস্তাঘাট ও বনের ধারে খাবার খায়। ছেলে পাখি ডাকতে পছন্দ করে।

ঝোপ-জঙ্গল, খোলা মাঠ, গ্রাম বা আশপাশে বড় বড় গাছ আছে এমন কৃষিজমিতে এদের দেখা মিলে। কৃষিজমি, খামার, ঘাসপূর্ণ মাঠ, ঝোপ, বনের প্রান্ত বা গ্রামে হেঁটে হেঁটে খাবার সংগ্রহ করে এরা। মূলত ধানই ছিল ঘুঘুর প্রধান খাদ্য। সারা দিন বাহিরে খাবর খেয়ে আবার বাসায় এসে থাকে।

পিবিএ/মেজবাহুল হিমেল/বিএইচ

আরও পড়ুন...