ডায়াবেটিস ও মেদ কমায় জিরা পানি

পিবিএ ,ঢাকা: ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত রোগ। আমাদের শরীরে ইনস্যুলিন নামের হরমোনের সম্পূর্ণ বা আপেক্ষিক ঘাটতির কারণে বিপাকজনিত গোলযোগ সৃষ্টি হয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং এক সময় তা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। এই রোগে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ দীর্ঘস্থায়ীভাবে বেড়ে যায়। সুস্থ লোকের রক্তে প্লাজমায় গ্লুকোজের পরিমাণ অভুক্ত অবস্থায় ৫.৬ মিলি মোলের কম এবং খাবার দুই ঘণ্টা পরে ৭.৮ মিলি মোলের কম থাকে। অভুক্ত অবস্থায় রক্তের প্লাজমায় গ্লুকোজের পরিমাণ ৭.১ মিলি মোলের বেশি হলে অথবা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘণ্টা পরে রক্তের প্লাজমায় গ্লুকোজের পরিমাণ ১১.১ মিলি মোলের বেশি হলে ডায়াবেটিস হয়েছে বলে গণ্য করা হয়।

তবে ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় অযোগ্য হলেও একে নিয়ন্ত্রণে রাখার নানা উপায় বাতলে দেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নিয়মিত শরীরচর্চা বা ওষুধ গ্রহণ করেই থাকেন অনেকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতিতেও ডায়াবেটিস ও ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনার অহররহ ঘটছে।

পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, ওষুধের পাশাপাশি কিছু পথ্যও যদি রাখতে পারেন নিত্য খাদ্যতালিকায়, তা হলে অসুখকে নিয়ন্ত্রণে তো রাখা যায়ই, সঙ্গে শরীরে এই সব অসুখের হানাও রুখে দেওয়া যায় সহজে।

পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিস ও মেদ কমাতে জিরার জুড়ি নেই। জিরায় থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা মেদ ঝরাতে কাজে করে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখা, বমি ভাব দূরে রাখা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে জিরা।

বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে জিরা ভিজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের মতে, রক্তের ক্ষতিকারক শর্করা ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সক্ষম জিরা। জিরা ভেজানো পানি যদি কেউ খালি পেটে খেতে পারেন, তবে মেদ কমার সঙ্গে ডায়াবেটিসও কমে।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...