শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে, এরপর তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। তিনি এখন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিভিড় পর্যবেক্ষণে আছন, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসা সেবা চলছে।
এর আগে ডা. জাফরুল্লাহর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী বলেন, ওনাকে (ডা. জাফরুল্লাহ) নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। সবদিক থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু ওনার পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। গত চার দিনেও শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি চোখ খুলছেন, তবে সেটি স্বাভাবিকভাবে না। অর্ধচেতন বলতে যেমনটা বুঝায়।
উন্নত চিকিৎসার কোনো ভাবনা আছে কি না– জানতে চাইলে ডা. মামুন মোস্তাফী বলেন, ওনার ইচ্ছার বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করছি না। করোনার সময় ওনার অবস্থা এখনের চেয়েও বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু ওনার ইচ্ছা হলো গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটাই ওনার শেষ কথা।
এর আগে রোববার (৯ এপ্রিল) মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানিয়েছিলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। গত ৫ এপ্রিল থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ কিডনি ফেইলিউর, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত। শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ও ব্লাড পেশার কমে যাওয়ার কারণে দুই দিন ধরে বিশেষ কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তাকে।