পিবিএ, ঢাকা: পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু। দুদক পরিচালক ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন, অভিযোগ ডিআইজি মিজানের
এর আগে, ২০১৮ সালের জুনয়ারিতে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জোর করে বিয়ে এবং সম্পর্ক গোপন রাখার অভিযোগে পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ ( ডিএমপি) থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। পরে মিজানের শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগ যাচাই-বাছাইয়ের অংশ হিসেবে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক।
সম্প্রতি, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন পুলিশের বিতর্কিত এই কর্মকর্তা। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের ঘটনা তদন্ত করছিলেন এনামুল বাছির। মিজান এ সম্পর্কিত একটি অডিও বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেন। এরপরই দুদক তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে কমিশন দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে দুদক। পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে, তিন কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিধিমালা সংশোধনের পর দুদক কার্যালয়ে করা এটিই প্রথম মামলা। এর আগে থানায় মামলা করতে হতো। এদিকে মামলার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন মিজান ও তার পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ডিআইজি মিজান আইনের ফাঁক দিয়ে বের হতে পারবেন না। পুলিশের ‘বিতর্কিত’ এই কর্মকর্তার স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে দুদকের আবেদনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। অসাধু উপায়ে অর্জিত ডিআইজি মিজানের সম্পদ বেহাত হওয়ার আশঙ্কায় ওই আদেশ দেওয়া হয়।
পিবিএ/বাখ