ডেঙ্গু জ্বরটি ভাইরাসজনিত। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ—জ্বর। ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।
তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্কতা খুবই জরুরি। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো জরুরি। এছাড়া বাড়ির আশপাশও পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন, যাতে এডিস মশা বিস্তার ঘটাতে না পারে। চলুন এক নজরে ডেঙ্গুর লক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে নেই।
ডেঙ্গুর লক্ষণ—
>>জ্বর হবে ১০২ ডিগ্রি থেকে ১০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত
>>মাংসপেশি ও গিট ব্যথা
>>চোখের পেছনে ও মাথায় ব্যথা
>>বমি বা বমি বমি ভাব
>>র্যাশ/চামড়ায় লালচে দাগ
>>ফোলা গ্রন্থি
যেসব লক্ষণ হলে হাসপাতালে যেতে হবে—
>>তীব্র পেট ব্যথা ও পেট ফুলে যাওয়া
>>দাঁতের মাড়ি, নখ বা অন্য অঙ্গ থেকে রক্তপাত
>>পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া
>>মাত্রারিক্ত অস্থিরতা
>>শরীর হঠাৎ ছেড়ে দেওয়া বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
ডেঙ্গু হলে যা করবেন—
>>পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিন
>>প্রচুর তরল গ্রহণ করুন (পানি, ডাব ও ডালের পানি, লেবু পানি)
>>ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খান (জাম্বুরা, কমলা, মাল্টা, আমলকি, ডালিম)
>>প্রোটিনজাতীয় খাবার খান (চিকেন স্যুপ, মাছ, ডিমের সাদা অংশ)
>>সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি বেশি খান
>>লাল চাল বা আতপ চালের জাউভাত খান
ডেঙ্গু হলে প্লাটিলেট বাড়াতে যা যা পান করবেন—
>>পেঁপে পাতার রস
>>অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী জুস
>>বিটের জুস
>>কচি গমের জুস
>>ডাবের পানি
ডেঙ্গু হলে যা করবেন না—
>>বিশ্রামে ঘাটতি
>>শরীরকে পানিশূণ্য হতে দেওয়া
>>ডেঙ্গু হলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া
>>ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ গ্রহণ
>>প্লাটিলেট নেয়ার জন্য তোড়জোড়