পিবিএ,ঢাকা: যতদিন পর্যন্ত দেশ ডেঙ্গুমুক্ত ও এডিস মশা নির্মূল না হবে ততদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা বিএনপিরও দায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো কাজে নেই। তারা সংকটে আছে, তাদের উদ্ধারের জন্য জরুরি অবস্থা দরকার।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সচেতনতা মূলক র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ পরিছন্ন-ডেঙ্গু মুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই র্যালির আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করছি। সারাদেশের ডেঙ্গু আক্রান্ত মানুষ যাতে চিকিৎসা পায়, যাতে যথাযথভাবে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় সেজন্য এই সেল কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘এখন সময়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। দেশের মানুষকে ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে রক্ষা করতে হবে। একটি মহল আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, যাতে ঈদের সময় কেউ বাড়ি-ঘরে না যায়। আপনারা সতর্ক থাকবেন। এটাই আমাদের অনুরোধ সতর্ক থেকে ঈদ উদযাপন করবেন। বাড়ি-ঘরে সবাই যাবেন কিন্তু সতর্ক থাকবেন।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ যতদিন পর্যন্ত গড়তে না পারবো ততদিন আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে। এটাই আমাদের আজকের অঙ্গীকার।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপমুক্ত ও এডিস মশা নির্মূল আমরা লড়াই হিসেবে নিয়েছি। দল হিসেবে বিএনপিরও দায়িত্ব আছে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করার। কিন্তু তারা কোথাও নেই। তারা কখনও বলছে সরকার ব্যর্থ, কখনও বলছে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের ব্যর্থতা থেকে উদ্ধারের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা দরকার। বিএনপি এটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে। তারা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেই, তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করছে না। তারা সংকটে আছে, তাদের উদ্ধারের জন্য জরুরি অবস্থা দরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ ও এডিস মশা আশঙ্কাজনকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। আমরা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রেখে যেকোনো মূল্যে দেশকে ডেঙ্গুমুক্ত করবো। সবাই যদি আমরা সচেতন হই তাহলে আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে পারবো।
র্যালিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ওই এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয় এবং নেতাকর্মীরা পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নেন।
পিবিএ/ ইকে