ডেঙ্গু নিয়ে সরকারের কাছে যে দাবি জানালেন জিএম কাদের

পিবিএ,ঢাকা: মানুষের রক্তের প্লাটিলেট গণনার যন্ত্রপাতি সারাদেশের সকল হাসপাতালগুলোতে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘ডেঙ্গুর ফলে মানুষের শরীরের রক্তের প্লাটিলেট ডাউন হয়ে যায়। তাই সরকারকে অনুরোধ করব দ্রুত রক্তের প্লাটিলেট গণনা করার যন্ত্রপাতি দেশের সব জায়গায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করুন।’

বুধবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত ‘ডেঙ্গু নির্মূলের জনসচেতনতা সৃষ্টি’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কোন পরিবারের ছোট্ট শিশুকে যদি মশা কামড় দেয়, তাহলে সে পরিবারটি উদ্বিগ্ন হয়ে যায়। ছোট্ট শিশুকে কামড়ের ফলে জ্বর আসলে বাবা মায়ের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কারণ, বাচ্চাটির ডেঙ্গু হল কিনা এই ভেবে। সারাদেশে সঠিকভাবে ডেঙ্গু শনাক্তকরণের কিট পাওয়া যাচ্ছে না।’

রক্তের প্লাটিলেট আলাদা করার ব্যবস্থা দেশের সব জায়গা নেই উল্লেখ করি তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলা শহরগুলোতে চিকিৎসার খুব বেশি সুযোগ সুবিধা নেই। ডেঙ্গু হলে রক্তের প্লাটিলেট ডাউন হয়ে যায়। তার ফলে মানুষের মৃত্যু হয়। রক্ত থেকে প্লাটিলেট আলাদা করে রোগীকে দেয়া হবে সেই সুযোগ সুবিধা বেশিরভাগ হাসপাতালে নেই। আগেও যেমন চিকিৎসার সুযোগ সুবিধা সব জায়গায় ছিল না, এখনো তেমনই আছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনের দিকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা আরও বৃদ্ধি হতে পারে। সরকার সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করে নাই। যখন যেটা দরকার ছিল, সেটা করা হয়। ডেঙ্গুর প্রধান বাহক মশাকে ধ্বংস করার জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও প্রচুর নয়।
সচেতনতা বৃদ্ধির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ছিল, সেটিও করা হয় নাই। এখনও মানুষ সচেতন নয়। মানুষকে সচেতন করতে হবে, মশা মারার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। সমস্ত জায়গায় যেন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করণের জন্য কিট থাকে এবং গ্রামেও যেন ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য যে সকল ব্যবস্থা থাকে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাব।’

সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রিতে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করার দাবি জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, ‘হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা যেন ফ্রিতে করা হয় সে ব্যবস্থা করা হোক। আমরা বলতে পারি সরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থাটি সহজেই দিতে পারেন কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে দেয়ার সুযোগ আছে। সরকারকে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকারকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। সরকার বলতে পারে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে। যদি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং মশা নিধনের ব্যবস্থাটি অতি দ্রুত কার্যকর করে সারা বছর চালু রাখা হয় তাহলে অতি দ্রুত আমরা এই অবস্থান থেকে উঠতে পারবো।’

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...