পিবিএ ডেস্ক: টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতার পড়ে সিলেট সিক্সার্স। টপ অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। এক পর্যায়ে ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে সিলেটের এই অল্প রানের স্কোরে ব্যাটসম্যানদের দোষ খোঁজার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়ে রইলো অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের রান আউট। তারপরেও সেখান থেকে নিকোলাস পুরান ও অলক কাপালী মিলে দলকে সম্মানজনক একটি অবস্থায় নিয়ে যান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনে মিরপুরে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ (রোবাবর) সিলেট সিক্সার্স আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চলছে।
সিলেট সিক্সার্স: ১২৭/৮ (২০ ওভারে, ওয়ার্নার ১৪, আফিফ ১৯, পুরান ৪১, অলক ১৯, মেহেদি হাসান ২/২৪, শহীদ ২/২২, সাইফুদ্দিন ২/১৩)।
ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় শর্ট স্কয়ার লেগে বল পাঠান। ননস্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ডেভিড ওয়ার্নার রান নিতে ছুটেন। কিন্তু অপর প্রান্তে তৌহিদ রান নেয়ার চেষ্টাই করেননি। ননষ্ট্রাইক প্রান্তে বোলার শোয়েব মালিক যখন স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন, তখন স্ট্রাইক প্রান্তে ওয়ার্নার এবং তৌহিদ দুজনেই দাড়িয়ে। এই প্রান্তে কে আগে পপিং ক্রিজে পৌছেছেন সেটা জানতে শেষ পর্যন্ত টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। আম্পায়ার জানান ওয়ার্নার রান আউট! কিন্তু রিপ্লেতে পরিস্কার দেখা যায় তৌহিদ তার ক্রিজে ব্যাট রাখার আগেই ওয়ার্নার সেখানে পা রেখেছেন! তাহলে ক্রিকেটের নতুন আইনের হিসেবে অবশ্যই তৈাহিদ হৃদয় আউট। কিন্তু টিভি আম্পায়ার সৈকত ইবনে শরফুদৌল্লা জানান-ওয়ার্নার আউট!
দুজনের একজন অবশ্যই রান আউট ছিলেন। তবে সেটা তৌহিদ হৃদয় নাকি ডেভিড ওয়ার্নার তা নিয়ে বিতর্ক অবশ্যই উঠবে।
রান আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ডেভিড ওয়ার্নার ১৩ বলে ১৪ রান করেন। এক ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকান তিনটি। ওয়ার্নারের সেই রান আউটের পর সিলেটের ইনিংসে যেন মড়ক লাগে। ভাল খেলতে থাকা আফিফ হোসেন বোল্ড হলেন বাজে শট খেলেন। সাব্বির রহমানও বিপিএলের নতুন মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ। তবে সবচেয়ে বেশি বাজে এবং বেহাল ব্যাটিং করলেন ওয়ান ডাউনে নামা তৌহিদ হৃদয়। ২৪ বলে ৮ রান করে শহীদ আফ্রিদির স্পিনে এলবি হয়ে ফিরলেন। আরও কুমিল্লার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও মোহাম্মদ শহীদ।
স্কোরবোর্ডে বলার মতো সঞ্চয় মুলত জমা করতে পারলো সিলেট সেজন্য মুল কৃতিত্ব ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকিপার নিকোলাস পুরানের। ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় মাত্র ২৬ বলে ৪১ রান করে পুরান। লেট অর্ডারে তাকে ১৯ রান করে সমর্থন দিলেন অলক কাপালি।
পিবিএ/এসআই