
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশ থেকে আরও ৫৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আরও ৯৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সারাদেশ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৩ জন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান,‘অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের আওতায় ৫৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর অন্যান্য মামলা ও ওয়ারেন্টের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৫৪ জনকে।
২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে উদ্ধার যত অস্ত্র
১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি কাঠের বাটযুক্ত পিস্তল, ৩টি ম্যাগজিন, ১২ রাউন্ড গুলি (৭.৬৫), ১টি মালবাহী ট্রাক ও ২৫০ গ্রাম উদ্ধার হয় বলে জানান ইনামুল হক সাগর।
ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।