ড. ইউনূসের কর ফাঁকি মামলার রায় ৩১ মে

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলার শুনানি শেষে আগামী ৩১ মে (বুধবার) রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার এবং বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ৯ মে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, জুন মাসের ৭ তারিখের আগে এ কোর্ট কোনোভাবেই শুনানি করতে পারবেন না। ঐ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, জুন মাসের আগেই এ মামলাটির শুনানি শেষ করতে হবে। কারণ বাজেটে এটি রাজস্ব দেখাতে হবে।

ড. ইউনূসের আইনজীবীরা তখন বলেন, তারা শুনানির জন্য প্রস্তুত নয়। ঐ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, যদি এ মাসে তারিখ না দেওয়া হয়, তবে তিনি প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করবেন। তখন আদালত এ মামলার দ্রুত শুনানি করতে পারবেন না এমন বিবেচনায় কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, মামলার দ্রুত শুনানির জন্য তিনি হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে দ্রুতই আবেদন করবেন। এর আগে, ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১২-১৭ এই পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ড. ইউনূস।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণের ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা; একই তহবিলের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে ২১৫ কোটি টাকা।

এরও আগে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১০০ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দফতরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন...