পিবিএ, কুড়িগ্রাম: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুর হাইল্ল্যা গ্রামের বাসিন্দা কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ তার ইচ্ছানুযায়ী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরেই দাফন করা হবে।
ড.সামাদের বড় ছেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তোহা মোহাম্মদ সোমবার দুপুরে এ বিষয়টি পিবিএ’কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার পিতা মরহুম ড. আব্দুস সামাদ তার জীবদ্দশায় বলেছেন- আমার মৃত্যু হলে লাশ নিয়ে টানা হেঁচড়া না করে আমার কর্মস্থল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরেই মুসলীম কবরস্থানে যেন দাফন করা হয়।
তাই ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ তার ইচ্ছানুযায়ী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরেই মুসলীম কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ড.সামাদের বড় ছেলে তোহা মোহাম্মদ। তিনি আরো, ড. আব্দুস সামাদের মরদেহ সরকার তাদের কাছে হস্তান্তর করলে দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সরকারের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ করবেন ড. আব্দুস সামাদের স্ত্রী কেশোয়ারা বেগম তার দুই ছেলে তানভীর ও তারেক।
উল্লেখ্য, ড. আব্দুস সামাদ নাগেশ্বরী ডিএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। এরপর এইচএসসি শেষে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে ওই বিশ্ব বিদ্যালয়ে কৃষি তথ্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগাম অবসর গ্রহণ করার পর তিনি ৫ বছর আগে স্ব-পরিবারে নিউজিল্যান্ড চলে যান। সেখানে তিনি লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রী গ্রহণ করেন।
নিউজিল্যান্ডে স্ত্রী কিশোয়ারাসহ ২ ছেলে তানভীর ও তারেক সাথেই থাকতেন। তার বড় ছেলে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তোহা মোহাম্মদ ঢাকায় একটি কোম্পানীতে কর্মরত।
ড. আব্দুস সামাদ নিহতের আগ পর্যন্ত তিনি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে মোয়াজ্জিনের দায়িত্বরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একজন ভালো হোমিও চিকিৎসকসহ নিউজিল্যান্ডের একটি বে-সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষণার দায়িত্ব পালন করতেন।
পিবিএ/ইএ/হক