পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই প্রথম কোনো ভিভিআইপির বাংলাদেশ সফর।
সোমবার সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ভুটানের রাজার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ভুটানের রানি ও পরিবারের সদস্য, ভুটান সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রতিবেশী দেশটির রাজা। এ সময় দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় গুরুত্ব পাবে স্বাস্থ্যখাত, আইসিটি ও পর্যটনখাত, কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ট্রানজিট চুক্তি এবং বিদ্যুৎ খাতে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিনিময়ে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রস্তাব। বুধবার পদ্মাসেতু পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। একই দিনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনও পরিদর্শন করবেন তিনি।
এছাড়া এই সফরে নতুন করে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। সেগুলো হলো- ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এছাড়া সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে বিদ্যমান চুক্তি নবায়ন হবে।
রোববার এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ভুটানের রাজার সফরে দেশটিকে বাংলাদেশ সরকার কিছু উপহার দেবে। এর মধ্যে আগামী বছর থেকে ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে বরাদ্দকৃত বার্ষিক আসন সংখ্যা ২২ থেকে ৩০-এ উন্নীতকরণ করা হবে। এছাড়া প্রতি বছর ভুটানের ফরেন সার্ভিস অফিসারদের জন্য বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য দুটি আসন বরাদ্দ করা হবে। এর বাইরে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি ভুটানে একটি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিলে ভুটানের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে তিন বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।