ঢাকার বাজারে আসতে শুরু করেছে শীত কালীন সবজি । তাই কমছে দাম।গত পনের দিন আগে এসেছে নতুন আলু, গাজর ও পাকা টমেটো। বাজারে এসব সবজি বাড়ায় দামও কিছুটা কমেছে। দুই সপ্তাহ আগে যে গাজর ও টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তা এখন মাত্র ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। ফুলকপি, পাতাকপি, বেগুন, শালগম, মুলা, পেপে, শিমসহ বেশিরভাগ সবজিই এখন অধিকাংশ বাজারে ২০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে এক মাস আগে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ডিমের দাম আবারো আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। সরবরাহ ঘাটতিতে এই সংকট তৈরি হলেও বাজার পুনরায় আগের অবস্থানে ফিরে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন এবং সরবরাহ দুটোই বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মজুদ করে রাখা পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এদিকে বাজারে দীর্ঘদিন দামি সবজির তালিকায় থাকা গাজরের দামও কমে গেছে। বাজার ও মানভেদে গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। দাম কমার বিষয়ে কারওয়ানবাজারের ব্যবসায়ী মো. হোসেন আলী বলেন, এখন বাজারে শীতের সব ধরনের সবজি ভরপুর। ফুলকপি, পাতাকপি, শালগম, মুলা অনেক আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে দামও কমছে।
এই ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে এখন পছন্দমতো সবধরনের শাক-সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কোনো সবজির ঘাটতি নেই। যে কারণে আমরা কিছুটা হলেও কম দামে সবজি আনতে পারছি। বিক্রিও করতে পারছি কম দামে। এখন প্রায় সব ধরনের সবজির দামই সস্তা। তবে ক্রেতাদের মধ্যে গাজর, লাউ, পাকা টমেটো, ফুলকপি, শিমের চাহিদা কিছুটা বেশি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো ও গাজরের দাম কমায় এখন বাজারে সব থেকে দামি সবজির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বরবটি। বাজারভেদে এক কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এদিকে শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত ফুলকপি বাজার ও মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়। শিম আগের সপ্তাহের মতোই বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস। মানভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। শীতের সবজির পাশাপাশি বাজারে এসেছে নতুন আলু। বাজারভেদে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। পুরাতন আলু আগের মতো ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
দাম অপরিবর্তিত থাকা দেশি পেঁয়াজের কেজি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। বাজারভেদে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। আর এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) হিসাবে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ টাকা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুর দিকে ব্যাপকভাবে ধস নামে। ডিমের বাজারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় একেবারে কম দামে বিক্রি হয় ডিম। সেই সংকটের কারণে অনেক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দেন। তার প্রভাব এসে পড়ে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। তখন বিভিন্ন এলাকাভেদে ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯ থেকে ১০ টাকা প্রতি পিস। অপরিবর্তিত রয়েছে বয়লার মুরগি, ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম। বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ডজন। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পিবিএ/ইএইচকে