পিবিএ,ডেস্ক: করোনার লকডাউনে টানা দেড় মাস বন্ধ থাকার পর রাজধানীতে সীমিত পরিসরে খুলতে যাচ্ছে বেশকিছু দোকানপাট-শপিংমল। যদিও ভাইরাসটির প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে তবুও রমজান ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে থেকে শর্তসাপেক্ষ সীমিত পরিসরে দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধির সব শর্ত মানতে হবে।
সরকারের স্বাস্থ্যবিধির সেইসব নির্দেশনা মেনে এরইমধ্যে নিজেদের বেশিরভাগ আউটলেট খোলার ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং ও বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স ও বাটা। একইসঙ্গে খুলে যাবে হাতিরপুলের ইস্টার্ন প্লাজা, এলিফ্যান্ট রোডের সব দোকান। খোলা হবে রাজধানীর গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকশনের ডিনসিসি মার্কেট এবং গাজী শপিং কমপ্লেক্সও।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও দোকান ও মার্কেট মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রাজধানীর বেশিরভাগ আভিজাত শপিংমল-মার্কেট খুলবে না। সারা দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ শপিংমল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
সর্বপ্রথম গত বুধবার যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় যমুনা গ্রুপ কর্তৃপক্ষ। এরপরই বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স বন্ধ রাখারও ঘোষণা আসে। এরপর বায়তুল মোকাররম মার্কেট ও নিউমার্কেট না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবসায়ীরা। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্র ও শনিবার রাজধানীর অন্য সব মার্কেট না খোলার ঘোষণা দেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা।
শনিবার পর্যন্ত যেসব মার্কেট না খোলার খবর পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো-যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালেব প্লাজা, পলওয়েল মার্কেট, মৌচাক ও আনারকলি মার্কেট, নিউমার্কেট, গাউছিয়া মার্কেট, চাঁদনি চক, চিশতিয়া মার্কেট, নিউ চিশতিয়া মার্কেট, ইসমাইল ম্যানশন, ইস্টার্ন মল্লিকা, চাঁদনি চক, নূর ম্যানশন, গোল্ডেন প্লাজা, গ্রিন স্মরণিকা, ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেট, প্রিয়াঙ্গন মার্কেট, নূরানী ম্যানশন, এলিফ্যান্ট রোডের আশপাশের মার্কেট, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন সুপার মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, মিরপুর এলাকার শপিংমল।
এদিকে করোনাভাইরাসের মধ্যেও কেনাকাটা করতে আগ্রহী ক্রেতাদের নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যের শপিংমলে কেনাকাটার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সঙ্গে প্রমাণপত্র হিসেবে এনআইডি/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স রাখতে বলা হয়েছে।
গত ৪ মে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকানপাট ও শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে খুলে দেয়ার কথা জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টায় খুলে বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
পিবিএ/এএম