সংঘর্ষে অন্তত ৩৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংঘর্ষে আহত হন তারা। তাদের বেশির ভাগের শরীরে ইট-পাটকেলের আঘাত রয়েছে।
আহতরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হলের অনিম (২১), ঢাকা কলেজের শাহরিয়ার (২১), মো. তুষার (১৮), মো. সেজান (১৮), রিফাত (২১), মো. আরাফাত (২১),, নীরব (২১), শরিফ (২১), মো. ইয়াকুব (১৮), মো. মেহেদী হাসান (২১), আল ইমরান (১৮) ও তানভীর (১৮)।
এছাড়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন সুজন (১৮), মো. আরিফ (১৭), মহিউদ্দিন (২৩), তারেক (৩২), তাহসিন (১৮), ফয়সাল (১৮), অরিকুল তরিকুল ইসলাম (রাজীব) (২৫), মোহাম্মদ আলী (১৭), হাসান (১৮), ইসমাইল (১৮), ফাইয়াদ (১৮), মো. মাহির (১৭), সাকিন (১৮), তানভীর (১৮), তামিম (১৮), তাওফিকুর রহমান (১৭), আশিক (১৮), রাজ (১৮), মেহেদী (১৮), শিশির (১৮), মো. আশিকুল (১৫), তাওসিফ (১৯), তোহা (১৮), নূর হোসেন (২৪) ও শিহাব (১৮)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থীর আইডি কার্ড কেড়ে নেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সিটি কলেজ এলাকায় ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। পরে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সিটি কলেজে আক্রমণ করে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন।
দুপুরের পর ঢাকা কলেজের একটি বাস সিটি কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ খবর ঢাকা কলেজে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা জোটবদ্ধ হয়ে সিটি কলেজে যান। এরপরে সংঘর্ষ শুরু হয়।