পিবিএ,ঢাকা: ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচনে গাজী শাহ আলম সভাপতি ও আসাদুজ্জামান খান (রচি) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে ‘সাদা প্যানেল’ সংখ্যাগরিষ্ঠ জয় পেয়েছে। সাদা প্যানেলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জয় পেয়েছে ১৮টি পদ এবং বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের ব্যানারে ‘নীল প্যানেল’ সিনিয়র সহ সভাপতিসহ পেয়েছে ৯ পদ।
সাদা প্যানেলে যারা নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি গাজী মো. শাহ আলম, সহ সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খান (রচি), ট্রেজারার আব্দুল জলিল আফ্রাদ (কবির), সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক (আসিফ), দফতর সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম (কাদির), ক্রীড়া সম্পাদক মো. উজ্জ্বল মিয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির টগর। সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন- আয়শা বিনতে আলী, হায়াত আল মাহমুদ (ঝিকূ), কাউসার হাসান, মো. ইব্রাহিম হোসেন, মো. জুয়েল সিকদার, মো. মাসুম মিয়া, সোহরাব হোসেন, তানভীর আহম্মেদ (সজীব), তুসার ঘোস।
এছাড়া নীল প্যানেল সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম দেওয়ান, গ্রন্থাগার সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোর্শেদা খাতুন শিল্পী, সদস্য পদে- কাজী রওশনা দিল আফরোজ, মো. ইব্রাহিম (খলিল), মো. মেহেদী হাসান জুয়েল, মিসেস. ফারহানা আক্তার লুবনা, শাহীন সুলতানা (খুকি) ও ইকবাল মাহমুদ সরকার নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) একই সময়ে ঢাকা বার সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণের নির্দিষ্ট সময় ছিল। ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমদিন ৪ হাজার ৬৪২ জন ভোট দেন। বৈরি আবহাওয়া ও সিটি নির্বাচনের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (০৭ র্মাচ) দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন ৪ হাজার ৭২২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সর্বমোট ৯ হাজার ৩৬৪ জন ভোট দেন।
ভোটে ২৭টি পদে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সাদা প্যানেল’ ছাড়াও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা ‘নীল প্যানেলে’ প্রার্থী দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এবার সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৭ জন প্রার্থী।
গেল জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখে ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়। বার সমিতির নির্বাচনে গঠিত কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল জানান, ভোট সম্পন্ন করতে ২০ আইনজীবীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এবার ঢাকা বার নির্বাচনে ১৭ হাজার ৮৯৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা ছিল। তবে দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণে ৯ হাজার ৩৬৪ জন ভোট প্রদান করেছেন। বাকি আট হাজার ৫৩৩ জন তাদের ভোট দেননি।
পিবিএ/এফএস