ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (৬ মে) অনুষ্ঠিত হবে। আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সকাল ১১টায় কলা ভবন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আবেদন পড়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮২টি। এই ইউনিটে প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করবেন প্রায় ৪২ জন শিক্ষার্থী।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৯৩৪টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৯০৮টি, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের যথাক্রমে জন্য ১ হাজার ৭৪৪টি ও ২৮২টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিট অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ফলাফলের (জিপিএ) ওপর ২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা:
১। পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার হলে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে।
২। পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী কোনো অবস্থাতেই বই, কাগজপত্র, ব্যাগ, ক্যালকুলেটর, ক্যামেরা, ট্যাব, এটিএম কার্ডসহ কোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ডিভাইস সম্বলিত কলম, ঘড়ি, চশমা এবং ইয়ারফোন ইত্যাদিসহ প্রবেশ করতে পারবেন না।
৩। পরীক্ষার এমসিকিউ পদ্ধতির (একটি শিট) উত্তরপত্র এবং লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র বিশ্ববিদ্যালয় সরবরাহ করবে। অতিরিক্ত কোনো শিট দেওয়া হবে না এবং সরবরাহকৃত উত্তরপত্রেই প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে হবে।
৪। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ৪০। প্রার্থী ৪০ নম্বর না পেলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। একইসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এমসিকিউ অংশে উত্তীর্ণ হতে হলে কমপক্ষে সর্বমোট ২৪ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে।
৫। প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি শুদ্ধ উত্তরের নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকবেন। ইতোমধ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।
এর আগে চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাবির চলতি বছরের ভর্তি যুদ্ধ। এছাড়া আগামী ১২ মে বিজ্ঞান ইউনিট এবং ১৩ মে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ একযোগে দেশের আট বিভাগীয় কেন্দ্রে এসব ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।