ঢাবির সিনেটে ৮১০ কোটি টাকার বাজেট পাস হবে, কমেছে গবেষণা খাতের বরাদ্দ

পিবিএ ডেস্কঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে প্রস্তাবিত এই বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন।
আজ পাশ হতে পারে প্রস্তাবিত বাজেট। উপস্থাপিত ওই বাজেটে দেখা যায়, ২০১৯-২০ সালের বাজেটে বেতন খাতে ২৫৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, ভাতাদি বাবদ ১৯৫ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা, পণ্য ও সেবা খাতে ১৭১ কোটি ৭৬ কোটি টাকা বিশেষ অনুদান খাতে ১০ কোটি ৫৯ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অনুদান খাতে ব্যয়ের জন্য ১৭৫ কোটি ৬৯ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সে হিসেবে মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ বাজেটের ৫৫.৮২ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতার বরাদ্দ হবে।
এছাড়াও পণ্য ও সেবা খাতে ২১.১৯ শতাংশ, বিশেষ অনুদান ১.৩১ শতাংশ ও অন্যান্য অনুদানে ২১.৬৮ শতাংশ ব্যয় হবে। অন্যদিকে, এই প্রস্তাবিত বাজেটের ৮১০ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন থেকে ৬৯৪ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ৬৬ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি থাকছে ৪৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ছিল ৭৪১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। এই অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট ওই বাজেটের চেয়ে ৬৯ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বেশি। তবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৪১ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ঘাটতি থাকলেও এ বছরে তা ৫.৬৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা।
গত ১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এই বাজেটের অনমোদন দেয়। বাজেট উপস্থাপনকালে কোষাধ্যক্ষ বাজেটে ঘাটতি বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বিভিন্ন খাতে অর্থ না দেওয়ায় এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদিসহ অন্যান্য বয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রমের সম্মানী, বইপত্র ও সাময়িকীর মূল্য, গবেষণা ব্যয় বাড়ার অনুপাতে মঞ্জুরি কমিশন থেকে অর্থ না পাওয়া এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রসমূহে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...