নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান এই মুহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় আজ রোববার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে ২০১১ সালে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে তিনটি রিভিউ আবেদন করেছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও পাঁচ সচেতন নাগরিক।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) তিনটি আবেদনেরই শুনানির জন্য শীর্ষ আদালতের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এর ভেতর গত বছরের ২৭ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ ব্যক্তি প্রথম আবেদনটি করেন।
পরে ১৬ ও ২৩ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য পৃথক দুটি রিভিউ আবেদন করেন। আবেদনে তারা বলেন—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
২০১১ সালের ১০ মে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত) বাতিল ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয় সামনে এনে পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এসব রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।