‘সমালোচনার বাক্সবাহী বিএনপি জনগণের পাশে নেই’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ গতকাল এক বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন। মাননীয় মন্ত্রীর কথা শতভাগ ঠিক। তব এটাও মিথ্যে না বিএনপি যতটা না নিজেদের কর্মকান্ডে আলোচিত তার চেয়ে বেশী তার সমালোচনার কারনে গণমাধ্যমে আলোচিত।
বিএনপি জনগণের পাশে তো নেইই বাস্তবে কোথাওই নেই। ত্যাগী কর্মী বলতে যা বুঝায় বিএনপির তা কখনোই ছিলো না। এক টেবিলে গুটিকয়েক আমলা আর মাঠে একদল কামলা (যাদের অর্থের বিনিময়ে মিছিলে আনা হয়) এই হলো বিএনপির চরিত্র। এদের সাথে মিছিল ধরার জন্য আছে কয়েকজন সন্ত্রাসী টাইপের সন্ডা। আর আমলা মানেতো সবাই বুঝে, সবসময় সরকারি দলের ধ্বজাধারী। তাই রাজনীতিতে নাম লেখালেও তাদের সেই চরিত্র পাল্টায় না। আর সন্ডাদের যে কোন সময় পুলিশি দাবড়ানি দিলেই দলছুট হয়ে যায়। যে কারনে দল ক্ষমতা থেকে বিদায় নেতাও পাততারি গুটায়। এখন যেমন বিএনপির আমলা-কামলা আর সন্ত্রাসী সবাই লেবাস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগার।
কারন একের পর এক খালেদ, শাহেদ, পাপিয়া নামের যেসব দূর্বৃত্ত্বের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে তারা সবাই বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে পূর্নবাসিত হয়েছে। বিএনপি সরকারে থাকতে এইসব দূর্বৃত্ত্ব নেতার উপার্জিত অবৈধ অর্থ খুব সহজেই আওয়ামী লীগ নেতাদের মন ও পদ জয়ে ভুমিকা রেখেছে। আওয়ামী লীগেও এই শ্রেনীর নেতা আছে বৈকি। নচেৎ এইসব দূর্বৃত্ত্বরা ভিরতে পারতো কি।
এই করোনা মহামারিতে একটা কথা প্রমানিত। সারাদেশে বিএনপি বা অন্য দলের নেতাদের তেমন দেখা যায়নি। প্রকৃত ত্যাগী নেতা বলতে আওয়ামী লীগেই আছে। যারা দলের যে কোন পরিস্থিতিতে দলের ও জনগণের পাশে থাকার হিম্মত রাখে। দুরারোগ্য মহামারি বা ঝড় সব বিপদে জনগণের পাশে থাকে।
আওয়ামী লীগ সরকার আরও একটা উপকার বিএনপির করছে। যে সব দূর্বৃত্ত্ব বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে পূর্নবাসিত হয়েছিল। তাদেরকে ধরে ধরে নিজেদের ঘারে বদনাম নিচ্ছে। আর এইসব দূর্বৃত্ত্বরা নিজেদের দল ভারি করতে আওয়ামী লীগের কিছু উচ্চাবিলাসী ও ভুইফোর নেতাকে নিজেদের দলে ভেরাতে সক্ষম হয়েছিলো। এতেও বিএনপি রাজনৈতিকভাবে লাভবান।
আওয়ামী লীগ খালেদ, রুপম বা শাহেদদের চিহ্নিত করে যেমন বিএনপির অতিত চরিত্র জনগণের সামনে প্রকাশ করছে। এতে প্রমাণিত ভাল মুখোশ পরে আওয়ামী লীগে ভিরা যায় কিন্তু টেকা যায় না। তেমনি আওয়ামী লীগের ওইসব উচ্চাবিলাশী ফটকাবাজ নেতাদের চিহ্নিত করাও তাদের স্বার্থেই প্রয়োজন। এ কাজ যত দ্রুত হবে ততই জাতি ও দলের জন্য মঙ্গল।
পিবিএ/শতাব্দী আলম