
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ। প্রচণ্ড তাপে শরীর পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে এখন। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৬৫ সালের পর সর্বোচ্চ।
এদিকে, আগামী সাত-আট দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় যেকোনো সময় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সংকট মোকাবিলায় ‘তাপমাত্রাজনিত জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। আমরা চিন্তাভাবনা করছি, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যায় কি না। গত দুই দিন শুক্র ও শনিবার অফিস-আদালতে ছুটি ছিল। তাই আগামীকাল ও পরশু (রবি ও সোমবার) দুই দিন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাপমাত্রা যদি এরপরও বাড়তে থাকে, তবে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২০১৪ সালের এপ্রিলে রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শনিবার তাপমাত্রা ঠেকেছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ‘অতি তীব্র’ তাপমাত্রা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, গতকাল রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায়- সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার পর্যন্ত টানা ১৪ দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালীতে টানা তীব্র দাবদাহ ও দেশের অন্যান্য জেলায় মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। প্রথমে কয়েকটি জেলায় ‘মৃদু’ তাপপ্রবাহ ছিল। পরে কয়েকটি জেলায় ‘মৃদু’র পাশাপাশি ‘তীব্র’ তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে।