তা‘মীরুল মিল্লাতে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

পিবিএ, ঢাকা: ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী বিদ্যাপীঠ তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা ঢাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০১৯ । গত ফেব্রুয়ারী মাসের ১ম দশকে অনুষ্ঠিত হওয়া কুরআন তেলায়াত, হামদ-না‘আত, আবৃতি, বক্তব্য প্রতিযোগিতা সহ মোট ২১ টি চমকপ্রদ ইভেন্টে যে সংস্কৃতিক দশক উদযাপিত হয় তার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠান। এছাড়া কেন্দ্রীয় পরীক্ষা ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় যারা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে তাদের ও পুরস্কৃত করা হয় এ অনুষ্ঠানে। এ অনুষ্ঠানে মোট পুরস্কারের সংখ্যা ছিল ৩৭০ টি। মাদরাসার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিভাগের আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক জনাব মিযানুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা গভর্ণিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ড: কাজী মো: ইউসুফ আলী।

tamirul-millat-madrasha

প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মাননীয় মহা পরিচালক জনাব সফিউদ্দিন আহমাদ । বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের ৫১ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও মাদরাসা গভর্ণিং বডির সদস্য কাজী হাবিবুর রহমান হাবু ও ৪৮, ৫০, ৫১ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর জনাব নাজমা বেগম খোকন এবং মাদরাসার মোতওয়াল্লি হাফেজ মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন। অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সামিউল ইসলাম অভি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসার সুযোগ্য অধ্যক্ষ শায়খুলহাদীস ড. মুহাম্মাদ আবু ইউছুফ খান। ছাত্র ও শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে পুথিঁগত লেখাপড়া পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়গুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য ও সৃজনশীলকরে তোলার প্রতি গুরত্বারোপ করেন। মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মাদ আবু ইউছুফ খান তাঁর সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মনদৈহিক বিকাশের জন্য সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়ে অংশগ্রহনের আবশ্যকতা তুলে ধরেন।

tamirul-milat--madrasha-dha

তিনি বলেন- তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা তার জন্মলগ্ন থেকে একদল আল্লাহ ভীরু, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেধা ও যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য এ সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনে সৃজনশীল কাজে আত্মনিয়োগ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মাদকতা ও নারী নির্যাতনের মত ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকবে। তিনি আরো বলেন সহিংসতা নৃশংসতা ইসলাম কখনো সমর্থন করেনা। কুরআন-হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা অনুধাবনের মাধ্যমে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ইসলামের শ্বাসত শান্তির বার্তা নিয়ে মানবজাতির কল্যানে আত্মনিয়োগ করবে।

তিনি মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় যেসকল ব্যক্তিরা অবদান রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মারমাগফেরাত কামনা করেন। যারা জীবিত আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেন। এলাকার তরুণ ও যুবকদেরকে মাদরাসা উন্নয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আত্মনিয়োগ করারআহবান জানান। সবশেষে মুহতারাম অধ্যক্ষের দু‘আ মুনাজাত পরিচালনার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

পিবিএ/এমআই

আরও পড়ুন...