পিবিএ,ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আগামী রমজান মাসে তারাবি নামাজ ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। গণভবন থেকে তিনি এই ভিডিও কনফারেন্স করেন।
সিয়াম সাধনার মাস রমজানে মুসলমানরা রাতে এশার নামাজের পর ২০ রাকাতবিশিষ্ট তারাবি নামাজ সমজিদে জামাতের নামাজ পড়ে থাকেন। আগামী ২৫ বা ২৬ এপ্রিল চাঁদ দেখাসাপেক্ষে বাংলাদেশে রমজান মাস শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, সৌদি আরবে নামায, জামাত বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারাবি নামাজ সেখানে হবে না, সবাই ঘরে পড়বে। খুব সীমিত আকারে সেখানে তারা করছে। তারা নিষেধ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঠিক এভাবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, এমনকি ভ্যাটিকান সিটি থেকে শুরু করে সব জায়গায় তারা সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে। নিজেদের সুরক্ষিত করা, অন্যকে সুরক্ষিত করা।’
‘কাজেই এই বিষয়গুলো থেকে আমাদেরও শিক্ষার বিষয় আছে। যে কারণে আমরা মসজিদে না গিয়ে নিজের ঘরে বসে নামাজ পড়া, কারণ- আল্লাহর এবাদত তো আপনি যে কোনো জায়গায় বসে করতে পারেন। এটাতো আল্লাহর কাছে আপনি সরাসরি করবেন। কাজেই বরং আপনার এবাদত করার একটা ভালো সুযোগ আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামনে রোজা, এই রমজান মাসে আমাদের কোনো পণ্য পরিবহন ও খাদ্যসামগ্রীর কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সাথে এখানে তারাবির নামাজ… যেহেতু সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশে হচ্ছে না, আমাদের এখানেও… যেহেতু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা মেনে আপনারা ঘরে বসে তারাবি পড়ুন। নিজের মনমতো করে পড়ুন।’
‘আল্লাহকে ডাকতে হবে, এবাদত করতে হবে। আপনি আপনার মতো করে যত ডাকতে পারবেন আল্লাহ সেটাই কবুল করবে, কাজেই সেভাবেই আপনারা করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অযথা মসজিদে গিয়ে কেউ সংক্রমিত হলে সে আরেকজনকে সংক্রমিত করল। আপনারা নিজেরাও অন্যকে করবেন। সেটা কিন্তু করবেন না দয়া করে। এ বিষয়টা সবাই মেনে চলবেন সেটাই আমরা চাই।’
পিবিএ/এমআর