আগামীকাল বুধবার আখেরি চাহার সোম্বা। এক হাজার ৪০০ বছর আগে হিজরি ২৩ সনের সফর মাসের শেষ বুধবার মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ রোগ ভোগের পর সুস্থ বোধ করেন। দিনটি শ্রদ্ধা, ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যের সঙ্গে পালন করে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব।
বাংলাদেশে আখেরি চাহার সোম্বার দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। মুসলিম উম্মহ আজো দান খয়রাত ও নফল ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে দিনটি পালন করে থাকেন।
আরবি ভাষায় সফর মাসের শেষ বুধবারকে ‘আখেরি চাহার সোম্বা’ বলা হয়। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ সফরের বুধবার হজরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ সময় রোগ ভোগের পর সুস্থতা বোধ করে গোসল করেছিলেন বলে হাদিস শরিফসহ বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ আছে। এ দিন শেষবারের মতো গোসল করেন রাসূল (সা.)। শেষবারের মত নামাজে ইমামতি করেন এই দিন।
মহানবীর সুস্থতার খবরে সাহবীগণ উচ্ছাসিত হয়ে উঠেন। তারা আনন্দিত চিত্তে আল্লাহ্র দরবারে শুকরিয়া স্বরুপ হাজার হাজার দিনার সদকা-খয়রাত এবং বহু সংখ্যক উট-দুম্বা কুরবানি করেন। তবে ২৯ সফর আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মহানবী (সা.)। তার মাত্র ১৫ দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন মানবতার মুক্তিদূত মহানবী (সা.)।
দিবসটি উলপক্ষে বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।