আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকার পদক্ষেপ নেবে – এমন আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে আমরণ অনশনও ভেঙেছেন তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান, সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের উপস্থিতিতে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। এসময় অনশনরত শিক্ষার্থীকে প্যাকেটজাত আমের জুস পান করান অধ্যক্ষ।
এ সময় উপস্থিত যুগ্ম সচিবকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করার দাবি জানান। অন্যথায় পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিগত কয়েকদিনে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির একটি বর্ষের চূড়ান্ত স্থগিতের দাবি জানান উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি তার এখতিয়ারে নেই বলে শিক্ষার্থীদের জানান।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ সাত দাবিতে কলেজের মূল ফটকের সামনে গণঅনশন শুরু করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সেই গণঅনশন কর্মসূচির মধ্যেই সোমবার কলেজের সামনে বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে দেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মহাখালী থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে মিছিল নিয়ে মহাখালীতে রেলপথ অবরোধ করেন আন্দোলনরতরা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।