তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-ঘাঘটে কমছে পানি, ভাঙ্গন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ

মোঃ রিফাতুন্নবী রিফাত,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটের পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে জেগে উঠছে এসব এলাকার প্লাবিত নিম্নাঞ্চল। এতে স্বস্তি ফিরলেও ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ।

এদিকে করতোয়ার পানি ৩১ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এ নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

রোববার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম সূত্র জানায়- গত ২৪ ঘন্টায় করতোয়া নদীর পানি ৩১ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১২ সেন্টেমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে তিস্তার পানি ৩০ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ২৭ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি ২২ সেমি হ্রাস পেয়ে ১৪৬ সেমি ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩১ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১১৪ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পর গত শনিবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি কমতে থাকে। এরপর রোববার থেকে কমতে শুরু করে ঘাঘট । এতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল জেগে উঠলেও ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন নদী পাড়ের মানুষ।

এদিকে বাড়ছে করতোয়া নদীর পানি। ফলে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থানে প্লাবিত হলোও তা কমতে শুরু করেছে। সেই সাথে করতোয়ায় পানিবৃদ্ধির ফলে স্থানীদের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমতে শুরু করেছে। সেই সাথে প্লাবিত হতে শুরু করেছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষরা গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়ছেন বিপাকে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, গাইবান্ধার তিস্তা, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করেছে। তবে করতোয়ার পনি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙ্গন রোধে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন...