তীব্র লোডসেডিংয়ে অতিষ্ট গুরুদাসপুরের জনজীবন

পিবিএ,গুরুদাসপুর,নাটোর: দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে রাতেও চলছে বিদ্যুতের তীব্র লোডসেডিং। জনজীবনে নেমে এসেছে অসহনীয় র্দুভোগ। তাতে অতিষ্ঠ হয়ে পরছে প্রথম শ্রেণির গুরুদাসপুর পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ডবাসী। ১নং ওয়ার্ডটির গুরুত্বপুর্ন অংশ বিশেষ পৌরসভার প্রাণ কেন্দ্রে হলেও ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিদ্যুত লাইনের সাথে সংযোগ থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষকের নিকট বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন লাভ হয়নি।

মাঝে মাঝে-ই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। শুরু হবার আগেই বিদ্যুত চলে যায়। একবার চলে গেলে ওই কারনে রাতদিন ২৪ঘন্টার মধ্যে ১৬থেকে ১৮ঘন্টা আর কিদ্যুতের সাথে দেখা হয়না। যদিও দুই- চার বার বিদ্যুতের ঝলক আসে দুই থেকে তিন সেকেন্ডের একটা স¦াক্ষাত শেষে আবার চলে যায় । এদিকে প্রকৃতিতে তীব্র রোদের ভয়ঙ্কর তাপদাহের সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের নজিরবিহীন আসা যাওয়ার ভৌতিক চিত্র। বিদ্যুতের এমন অব্যহত লুকোচুরির ফলে বাণিজ্যিক আবাসিক গ্রাহকরা রয়েছেন চরম অশ্বস্তিতে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদন ব্যপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে । সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতির সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রমেরও। বিকল হচ্ছে যান্ত্রিক ও ইলেক্ট্রনিক সমগ্রী। এছাড়া গুরুদাসপুরের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানাসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে হুমকির মুখে।

গুরুদাসপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ও বর্তমান কমিশনার পিবিএ,কে জানান, বিদ্যুতের অব্যহত লোডশেডিংয়ের ফলে কাজে নেমেছে স্থ^বিরতা। শুধু শিল্প প্রতিষ্ঠানই নয় বিদ্যুতের এমন অসহোনীয় লোডশেডিংয়ের ফলে বিপর্যস্ত হচ্ছে জন-জীবন। গরিবদের হাত পাখা সামর্থবানদের সৌর বিদ্যুতের ওপর ভর করেই অসহ্য গরম নিবারনের চেষ্টা করছে গুরুদাসপুরের ১ নং ওয়ার্ড বাসী।

ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানান, দিনের বেশির ভাগ সময়-ই বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না। একারনে ব্যবসা বাণিজ্যে অচলাবস্থা বিড়াজ করছে। সব ধরনের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন কার্যক্রমে নেমেছে স্থবিরতা। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর (গুরুদাসপুর-জোনাল অফিস) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মহিতুল ইসলাম পিবিএ’কে বলেন, এটা আমার ব্যাপার না। এটা মেয়রের ব্যাপার। আপনি মেয়র সাহেবকে ফোন দেন।

১নং ওয়ার্ডেরএলাকাবাসী জানান, আমাদের বিদ্যুত লাইনের সাথেই পৌরসভার লাইট জ¦লে ২৪ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ১৮ঘন্টা অথচ আমরা বিদ্যুত পাই মাত্র ৫ থেকে ৬ঘন্টা। ১ নং ওয়ার্ডের নাগরিক হিসাবে সর্বচ্চ সুযোগ সুবিধা পাবার কথা থাকলেও বিদ্যুতের কারনে সকল দিক থেকেই বঞ্চিত। আমরা বারবার বলার পরেও কর্তৃপক্ষের কোন ভ্রক্ষেপ নেই যা অত্যান্ত দুঃখজনক।
এব্যাপারে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলীর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি।

পিবিএ/এনএইচ/হক

আরও পড়ুন...