পিবিএ ডেস্ক: তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে দেশটির রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও ইজমিরে পরাজিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মনোনীত প্রার্থীরা। তবে পুরো দেশে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছে একেপি দলীয় জোট।
দেশটির রাজধানী আঙ্কারা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে ১৬ বছর পর এই প্রথম একে পার্টির প্রাথী পরাজয় বরণ করলো।
দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচনটি হয়। তুরস্কের মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে ৫৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছিলেন।
তুর্কী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আঙ্কারায় ধর্ম নিরপেক্ষ দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) মনোনীত প্রার্থী মানসুর ইয়াভাস জয়লাভ করেছেন।
এদিকে, ইস্তাম্বুলে মেয়র পদে একেপি ও সিএইচপি উভয় দলই নিজ প্রার্থীদের জয় দাবি করছে।
সেখানকার সিএইচপির প্রার্থী ইকরেম ইমামোগলু বলেছেন, প্রায় ২৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেছেন।
অন্যদিকে, একেপির প্রার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়িলদিরিম জানিয়েছেন, তিনি বিরোধী প্রার্থীর থেকে প্রায় চার হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
সেখানে দুই প্রার্থীই পৃথকভাবে প্রায় চার মিলিয়ন করে ভোট পেয়েছেন।
ইস্তাম্বুলের সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে সেখানে একেপি মনোনীত প্রার্থী পরাজিত হতে পারেন বলে আগেই সংকেত পেয়েছিলেন এরদোয়ান।
অন্যদিকে, দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমিরেও সিএইচপি মনোনীত প্রার্থীই জয়লাভ করেছেন বলে দাবি করেছে দলটি।
সিএইচপির নেতা কেমাল কিলিকডারোগলু বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন জনগণ। তারা গণতন্ত্রকেই বেছে নিয়েছে।
দেশের ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে এরদোয়ান বলেন, যদি কোনো ধরনের ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের উচিত তা শুধরে নেওয়া।
এর আগে এরদোয়ান বলেছিলেন, এ নির্বাচন দেশ এবং তার দলের জন্য বেঁচে থাকার লড়াই।
২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তার নেতৃত্বে দেশটির অর্থনীতিকেই গুরুত্ব দেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
পিবিএ/এএইচ