তৃতীয় দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বোমা-মারধরের অভিযোগ

পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসন মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, মালদহ দক্ষিণ ও মালদহ উত্তরে ভোট হচ্ছে। দেশের বাকি রাজ্যে ভোট শান্তিতে হলেও পশ্চিমবঙ্গের ভোট সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

মুর্শিদাবাদে সিপিএম এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হরিহরপাড়ায় কংগ্রেস সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। জঙ্গিপুরে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়েছে। মালদহে বিজেপি এজেন্টকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ডোমকলে তৃণমূল ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডোমকলেই সিপিএমের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠার পর সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম সেখানে চলে যান।

সেলিম জানান, সিপিএমের এজেন্টকে বের করে দিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী সিপিএমের এজেন্ট হিসাবে বসে যান। সেলিম গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। সেই এজেন্টকে পরে বের করে দেওয়া হয়। সেলিমের অভিযোগের পর ওই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জঙ্গিপুরে বিজেপির দুই এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। সেখানেও বিজেপি প্রার্থী চলে যান। দলের এজেন্টদের বসানোর দাবি করেন।

রানিনগরে সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়। তিনি কয়েক ঘণ্টা কলাবাগানে লুকিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। মালদহ দক্ষিণের একটি বুথে পুলিশ ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।

এদিকে গুজরাটের আমেদাবাদের একটি স্কুলে ভোট দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ভোট দেওয়ার পর বলেন, ‘ভোট দেওয়ার একটা গুরুত্ব আছে। সবাই এই গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিন।’

মোদি জানিয়েছেন, তিনি এই স্কুলেই বরাবর ভোট দেন। ওই একই বুথে ভোট দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও।

আরও পড়ুন...