পিবিএ ঢাকা : সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মত রাজধানীতে বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। পুলিশের প্রতিরোধের কারণে আজ তারা গত দু’দিনের মতো সংঘবদ্ধভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারছে না। রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে গার্মেন্টস শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাতে বাধা প্রদান করে। পুলিশের একশনে তারা শেষ পর্যন্ত তারা দক্ষিণখানের দিকে সরে যেতে বাধ্য হয়।
বিমানবন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টের শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আসার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা বিভিন্ন গার্মেন্টে গিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা করছে। না আসলে কারখানায় ভাঙচুর করছে। দক্ষিণখান এলাকার নিপা এবং এপিএস গার্মেন্টসে হামলা হামলার খবর পেয়েছি আমরা। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।‘
এদিকে মিরপুরের কালশী এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
পুলিশের কাফরুল জোনের সহকারী কমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা জানান, ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনে তাদের বিক্ষোভের কারণে কালশী এলাকায় রাস্তার একদিকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, রোকেয়া সরণি এবং পল্লবী এলাকাতেও বিভিন্ন গার্মেন্টের কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় এসে বিক্ষোভ করছে। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
সরকার ঘোষিত কাঠামো পর্যালোচনা করে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত রোববার থেকে প্রতিদিনই ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখ বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা।
তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের জন্য যে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে, মালিকপক্ষ সে অনুযায়ী বেতন দিচ্ছে না। বরং তাদের নানাভাবে ‘অন্যায়-অবিচারের’ শিকার হতে হচ্ছে।
পিবিএ/জিজি