তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদি

তৃতীয়বারের মতো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ রোববার (৯ জুন) রাজধানী নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপ্রতি ভবনে ৮ হাজার অতিথির সামনে শপথ নেন মোদি। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু।

মোদির এ শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ভারতের প্রতিবেশী দেশসহ মোট সাতটি দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট অংশ নেন। তাদের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শপথ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি শপথ নেওয়ার পর দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করানো শুরু করেন প্রেসিডেন্ট মুর্মু।

মোদির নেতৃত্বাধীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) তাদের ফেসবুকে মোদির তিনটি ছবি প্রকাশ করছে। এতে দেখা যাচ্ছে ২০১৪. ২০১৯ এবং ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন মোদি।
এদিকে স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে মোদি দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। এর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা জহওরলাল নেহরু।

মোদি এবার ‘এনডিএ’ জোটের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কারণ তার রাজনৈতিক দল বিজেপি এবারের লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। দেশটির লোকসভায় মোট ৫৪৩টি আসন রয়েছে। কোনো দল যদি এককভাবে দল গঠন করতে চায় তাহলে তাদের কমপক্ষে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হয়। কিন্তু বিজেপি এবার পেয়েছে ২৪০টি আসন। তবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯২টি আসন পাওয়ায় মোদির তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে কোনো বেগ পেতে হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদি রোববার শপথ নিলেও, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভার শপথ কয়েকদিন পর হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রী পদে আজই শপথ গ্রহণ হবে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আজ ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন। এর মধ্যে বিজেপির মন্ত্রীদের সংখ্যাই বেশি হবে। জোটের অন্য দলগুলোর কয়েকজন সংসদ সদস্যও শপথ নিতে পারেন।

এদিকে মোদির শরিক দলগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দাবি জানালেও, গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রণালয়- স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজেপি নিজের হাতেই রাখছে। এর পাশাপাশি রেল, শিক্ষা, সড়ক ও পরিবহন, আইন, তথ্য প্রযুক্তি, স্টিল, কয়লা ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও বিজেপি নিজের হাতে রাখবে বলে জানিয়েছিল দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো।

আরও পড়ুন...