“তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ সেজে চাঁদাবাজি করতেন তারা”

গণপরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের বেশধারী চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর জানা গেছে, তাদের কেউই তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি নয়, তারা পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি সেজে তারা চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। গ্রেফতারদের ছদ্মনাম মৌসুমী (৩২), অনিকা (১৯), তুলি (২৪) ও দুলী (২৫)। তাদের আসল নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন।

ওসি বলেন, গ্রেফতারের পর তৃতীয় লিঙ্গের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। এরপর জানা গেছে, তারা মূলত তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি নয়। তারা সবাই পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি সেজে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করতেন। দাবি করা টাকা না দিলে কাউন্টার ও গাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতেন। যাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করতেন।

তিনি আরও বলেন, আজ সকালে অভিযুক্তরা উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে এনা পরিবহনের ম্যানেজার জিয়াউল হকের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে অস্বীকৃতি করলে তারা যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করেন।

ওসি মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, একপর্যায়ে তিনি ৫০০ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তারা তাদের দাবি করা টাকার জন্য অনড় থাকেন। তারা ভুক্তভোগী জিয়ার পকেট থেকে এক হাজার ১০ টাকা নিয়ে নেন এবং আরও ৪৯০ টাকার জন্য কাউন্টারজুড়ে হৈ হুল্লোড় করতে থাকেন। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের চারজনকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় জিয়াউল হক বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন...