তোমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি: মির্জা ফখরুল

পিবিএ,ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা কেন এই হিংসা, প্রতিহিংসা, ক্ষোভ, হত্যাযজ্ঞের মধ্যে নেমে পড়েছি? কেন আমাদের রাফিকে (নুসরাত জাহান) এভাবে নির্যাতিত হয়ে মরতে হয়? কেন? আমি জানি না। এই উত্তর আমাদের রাজনীতিবিদদেরই দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি, সুন্দর বাংলাদেশ দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ব্যর্থ হয়েছি তোমাদের নিরাপত্তা দিতে।’

আজ বুধবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জিয়া শিশু একাডেমি আয়োজিত দশম জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি’ উপলক্ষে এক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা কেন এই হিংসা, প্রতিহিংসা, ক্ষোভ, হত্যাযজ্ঞের মধ্যে নেমে পড়েছি?
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

এ সময় শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারপরও আমি স্বপ্ন দেখি। আমি স্বপ্ন দেখি, এই বাংলাদেশ একটা সুন্দর ও সমৃদ্ধির দেশ হবে। আমি স্বপ্ন দেখি, এই শিশুরা নির্ভয়ে বিচরণ করবে। কোথায়ও তাদের ওপরে কখনো আঘাত আসবে না। আমাদের মেয়েদের পুড়িয়ে মারবে না। এই স্বপ্নগুলো আমরা দেখি।

বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরা অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ। কিন্তু যে মানুষটি স্বাধীনতা যুদ্ধের “ঘোষণা” দিয়েছিলেন এবং নিজেই অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, সেই মানুষটির নামেই জিয়া শিশু একাডেমি। তোমরা নামটি শুনেছ। কিন্তু তোমরা জানো না। কারণ, তোমাদের বই থেকে আস্তে আস্তে নামটি মুছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নামটি বারবার আমরা বলতে চাই। কারণ, যে মানুষটি স্বাধীন–মুক্ত বাতাসের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, এই কথাটি আজকে ভুলে গেলে চলবে না।’

পরে আবৃত্তি, অভিনয়, সংগীত, নৃত্যের ১৩টি একক ও তিনটি দলীয় বিষয়ে ক-খ বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানপ্রাপ্ত ৮৫ জন খুদে শিল্পীকে ‘শাপলাকুঁড়ি-২০১৮’ পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়। পরে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করে।

আয়োজক সংগঠনের মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ, ১০ম জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতার বিচারক চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ, অভিনেত্রী রিনা খান, শিল্পী শফি মণ্ডল, শিল্পী জিনাত রেহানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...