থলথলে চেহারা দেখলেই হুমড়ি খাবেন না

সাহেদকে প্রশ্রয় দেয় নি কে ? দোষটা অন্যদেরই বা কম কি! ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তৃণ সম দহে।’ সাহেদের উত্থানের পেছনে গণমাধ্যমই মূল ভুমিকা রেখেছে। তৃতীয়মাত্রা এবং দৃষ্টিকোনের নিয়মিত আলোচক ছিলেন সাহেদ। তাছাড়া বিভিন্ন বিজনেস বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানেও তাকে দেখা যেত। টিভি টকশোর আলোচক পরিচয় নিয়েই তিনি(সাহেদ) সরকারি মন্ত্রী ও উর্দ্ধতন আমলাদের কাছাকাছি হবার সুযোগ পেয়েছেন।

গ্রাম দেশে একটা ঝকঝকে প্রাডো নিয়ে এক চক্কর দিলেই কেল্লা ফতে। গ্রামের সহজ সরল মানুষের কাছে সাক্ষাত দানবির। আর যদি সত্যি সত্যি কিছু দান দক্ষিণা শুরু করেন। তবেতো কথাই নেই। তাকে মাথায় তুলে রাখে। একবারও জানতে চায় না এই দানের অর্থ রাতারাতি কোথা থেকে এলো। সেই সুযোগ নিয়ে সাহেদরা প্রতারণা করতে করতে এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠার সুযোগ পায়।

মাননীয় মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ঠিকই বলেছেন। সরকারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনি এদের মুখোশ উন্মোচন করেছে। এখন সবাই গেলো গেলো রব তুলেছে। অথচ দুইদিন আগেও সে টকশোতে গলাবাজি করেছে। আমরা সাংবাদিকরা কেন অনুসন্ধান করি না। আর জনসাধারণ কেন প্রশ্ন করে না।

থলথলে চেহারা দেখলেই হুমড়ি খাবার স্বভাব বাদ দিতে হবে। দানবির দেখলেই উদার হাত পাতার লোকগুলো হাত গুটিয়ে নিন। আগে জানতে হবে দানবিরের অতিত বর্তমান জানা উচিত। পাপুল যেভাবে এমপি হয়েছে। সেভাবে সাহেদও হয়তো স্বপ্ন দেখেছে। উন্নয়নের সাথে কিছু উন্নত প্রতারক আমদানি হবে। তাবে তাদের থেকে সাবধান জনসাধারণকেই থাকতে হবে।

পিবিএ/শতাব্দী আলম

আরও পড়ুন...