শনিবার বনানী কবরস্থনে দাফন করা হবে

থাইল্যান্ড থেকে রাতেই দেশে আসছে সাহারা খাতুনের মরদেহ

মনির হোসেন জীবন,ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মরদেহ শুক্রবার রাতে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আনা হচেছ।

দীর্ঘদিন নানা রোগব্যাধির সঙ্গে যুদ্ধ করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টা ২৫ মিনিটের সময় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে যান।

আগামীকাল শনিবার নামাজের জানাযা শেষে বনানী কবরস্থানে তার বাবা মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

এদিকে, আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বলেন,আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

তিনি বলেন, সাহারা আপার মরদেহ নিয়ে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ব্যাংকক সময় রাত ৯ টায় বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। রাতেই সেটি ঢাকায় পৌঁছাবে। এরপর আগামীকাল শনিবার বানানী কবরস্থানে ওনার (সাহারা খাতুনের) বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

বিপ্লব বড়ুয়া আরও বলেন, জানাজা ও দাফনের সময় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা বসে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে, প্রয়াত সাহারা খাতুনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান এই নারী রাজনৈতিকবিদ। জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

রপর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২২ জুন দুপুরে তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।কয়েকদফা আইসিইউ’তে চিকিৎসা দেয়ার এক পর্যায়ে অসুস্থ সাহারা খাতুনকে গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেযোগে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত রাত ১১টা ২৫ মিনিটের সময় থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১৮ আসনের পরপর তিনবার নির্বাচিত এমপি প্রয়াত অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...