পিবিএ ডেস্ক: আমরা সাধারণত খাবার দাবার প্লেটে নিয়েই খেয়ে থাকি। রান্না বান্না করতে হাড়ি পাতিল ব্যবহার করে থাকি। চা কফি কিংবা পানি পান করতে গ্লাস অথবা মগের ব্যবহার করে থাকি। যাই করি না কেনো খাবার দাবারের সাথে থালা বাসনের সম্পর্ক মিশে আছে। খাওয়ার পর তাই এগুলো নোংরা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় থালাবাসন পরিষ্কারের কিছু ভুল আমরা করে থাকি যায় ফলে অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়তে হয় আমাদের।আজকের লেখায় মুলত আমরা আপনাদের সে ব্যপারেই অবগত করবো।
আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক থালাবাসন পরিষ্কারের কিছু ভুল সম্পর্কেঃ
প্লাস্টিকের জিনিসপত্র সাথে সাথে পরিষ্কার না করাঃ
রান্নাবান্নায় প্লাস্টিকের বাটি বা পাত্র ব্যবহার করলে সেটা কাজ শেষ হওয়ামাত্রই ধুয়ে ফেলা উচিত। প্লাস্টিকের পাত্র স্টিল, সিলভার বা কাঁচের পাত্রের চেয়ে ভিন্ন। এঁটো অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ রেখে দিলে ভালোভাবে না ধুলে আগের খাবারের গন্ধ প্লাস্টিকের বাটি থেকে যায় না। বাসায় ডিশওয়াশার ব্যবহার করলে ভুলেও প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ধোঁয়ার জন্যে ডিশওয়াশারের ভেতর রাখবেন না। প্লাস্টিকের সবকিছু ব্যবহারের পরপরই সবসময় হাতে ধোঁয়া সবচেয়ে ভালো।
ওভেন ঠিকঠাকভাবে পরিষ্কার না করাঃ
ওভেন প্রতিবার ব্যবহারের পরই পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই। ওভেন কেবলমাত্র তখনই পরিষ্কার করা উচিত যখন সেটা পরিষ্কারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ধরুন মাংস বা কিছু ওভেনে গরম করতে দিলেন, বা কিছু একটা রান্না করলেন যেটা ছিটকে ওভেনের দেয়ালে বা নিচে পরেছে। এরকমটা হলে ব্যবহারের পরপরই ওভেন পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। অন্যথায় পরবর্তীতে যে রান্নাটা করবেন সেটায় আছে রান্না করা খাবারের একটা গন্ধ থেকে যাবে।
ডিশওয়াশিং সাবান বা লিকুইড ব্যবহারে সতর্কতাঃ
থালাবাসন ধোঁয়ার জন্যে এখন শক্তিশালী লিকুইড বা সাবান পাওয়া যায়।এগুলি অল্প ব্যবহারেই খুব ভালোভাবে হাড়িপাতিলের সবচেয়ে বাজে দাগও তুলে ফেলা যায় নিমিষেই। তবে ভিম বা ট্রিক্স ব্যবহারের বেলায় একটু সতর্ক থাকা ভালো। প্রথমত, যেহেতু অল্প পরিমাণেই ভালো পরিষ্কার হয় সেহেতু যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করে থালাবাসন পরিষ্কারের চেষ্টা করবেন।
সাবান বা লিকুইড ব্যবহারে পরিষ্কার হয়ে যাবার পরে থালাবাটি আরেকবার ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন, যাতে কোনোপ্রকার গন্ধ না থাকে। চেষ্টা করবেন পুনরায় ব্যবহারের আগে হাড়িপাতিল শুকিয়ে নিতে। ধুয়েই সাথে সাথে চুলায় বসিয়ে দিলে লেগে থাকা পানি টেনে যাবার সময় খারাপ রকমের একটা গন্ধ পাবেন, যেটা আপনার রান্না করা খাবারের স্বাদ অনেকাংশেই কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি শরীরে রাসায়নিক পদার্থের বাজে প্রভাবতো আছেই।
সঠিকভাবে কফি মেশিন পরিষ্কার না করাঃ
আপনার ক্যাফেইনের প্রতি আসক্তি থাকলে কফি মেশিন নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত। নাহলে আগে ব্যবহার করা কফি আপনার নতুন তৈরি করা কফির স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট করে দেবে।
ফ্রাই করার প্যান বা রসুনের ছেঁচনি কখনোই ডিশওয়ারে দেবেন নাঃ
ফ্রাই করার প্যানের উপর একটা পাতলা আবরন থাকে। ডিশওয়ার ব্যবহারে করে সেটাকে ধোয়া হলে সেই আবরনটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলাফলস্বরূপ, খাবার অল্পতেই পুড়ে যাবার মতন সমস্যা দেখা দেয়। আর রসুনের ছেঁচনি হাতে না ধোয়া হলে সেটা পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না। রসুনের ছোটো ছোটো কণা ভেতরে থেকে যায়। ফলে পরবর্তীতে ব্যবহার করার আগে থেকে যাওয়া রসুনের কণা খাবারের ভেতর গিয়ে পরে। এতে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবার পাশাপাশি থাকে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এছাড়াও রান্নাঘরে অন্তত দুটি মাজুনি রাখুন। সাধারণ থালাবাটি পরিষ্কারের জন্যে প্লাস্টিকের বা কাপড়ের মাজুনি রাখুন। আর শক্ত ময়লা পরিষ্কারের জন্যে রাখুন একটু শক্ত একটা মাজুনি।
পিবিএ/ইকে