পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানে প্রেমবাগান এলাকায় ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রকৌশলী রকিব উদ্দিন ভূঁইয়াকে ঘিরেই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। নিহত নারীর স্বামীকে ঘিরেই প্রাথমিক তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
রকিবকে গ্রেফতার করতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাবের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। তাকে ধরতে পারলেই ত্রিপল মার্ডারের কাহিনী বের হয়ে আসবে বলে মনে করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের এডিসি হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিহত তিনজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সন্ধ্যার পর বনানী কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এরপর রাতে ভিকটিম মুন্নী বেগমের ভাই মুন্না বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণখানের প্রেমবাগান এলাকার ৮৩৮ নম্বর বাসার চতুর্থ তলা থেকে মা মুন্নী বেগম (৩৮) এবং তার দুই সন্তান ফারহান উদ্দিন (১২) ও লাইবা ভূইয়ার (৩) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিব উদ্দিন ভূঁইয়া ওই বাসায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি বিটিসিএলের গুলশান কার্যালয় থেকে উত্তরা কার্যালয়ে বদলি হন। দুই সন্তানসহ স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাকে ঘিরেই সন্দেহ ও রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। মুন্নী রাকিবের খালাতো বোন। প্রায় এক যুগ আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন।
নিহত মুন্নী বেগমের ভাই সোহেল আহমেদ বলেন, বুধবার থেকে আমরা বোন ও বোনের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো কোথাও ঘুরতে গিয়েছে। শুক্রবার খোঁজ নিতে এসে মরদেহ পাই। আমার বোন ও বোনের স্বামীর সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল বলেই জানতাম। আমরা এখনো বুঝতে পারছি না কারা এবং কেন তাদের হত্যা করলো।
উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, আমি মনে করছি, ভিকটিমের স্বামীকে খুঁজে পেলে ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। পাশাপাশি সম্ভাব্য অন্য দিকগুলোও মাথায় রেখে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তিন খুনের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
পুলিশের উত্তর বিভাগের দক্ষিণখান জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, নিহত গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা খুনিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর স্বামী তথা দুই সন্তানের বাবার খোঁজ করা হচ্ছে।
পিবিএ/এমআর