পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি বাড়ি থেকে যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মায়ের মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাতের কারণে, আর তার দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এক দিন আগের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
পুলিশ বলছে, নিহত দুই শিশুর বাবা বিটিসিএলের উপ সহকারী প্রকৌশলী রকিবউদ্দিনকে পাওয়া গেলে হত্যা রহস্য উদঘাটন করা সহজ হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কে সি মডেল স্কুলের পেছনে প্রেমবাগান এলাকায় রকিবউদ্দিনের বাসা থেকে তার স্ত্রী মুন্নী বেগম (৩৭), তাদের ছেলে ফোরকান উদ্দিন (১২) ও মেয়ে লাইভার (৪) লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ তখনই জানিয়েছিল, তিন দিন ধরে গৃহকর্তা রকিবের কোনো খোঁজ নেই।
নিহত তিন জনের মধ্যে মা ও মেয়ের লাশ ছিল বিছানায়; ছেলের লাশ পাশের ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। মুন্নীর মাথা ছিল থেঁতলানো।
শনিবার দুপুরে সোহরোওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তিনজনের ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান এ এম সেলিম রেজা।
পরে তিনি বলেন, “প্রতিবেদন পেতে একটু সময় লাগবে। তবে মুন্নী বেগমকে ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং তার দুই শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, “এই হত্যারহস্য এখনো উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাদের কারা এবং কেন হত্যা করেছে- সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। পুরো ঘটনাই এখনও অজানা।
“তবে রকিবউদ্দিনকে পাওয়া গেলে বিষয়টি খোলাসা হতে পারে। তাকে আমরা খুঁজছি।”
এ ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন।
পিবিএ/এমএসএম