পিবিএ ডেস্কঃ হাসি যদি ভুবনমোহিনী হয়, দাঁতকে তবে সুন্দর হতেই হয়। তবে রোজের খাওয়াদাওয়ার ভুল দাঁতকে সুস্থ ও সুন্দর থাকার পথে অনেকটাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিশুদের বেলায় যদি মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, চকোলট ভিলেন হয়ে থাকে, ব়ড়দের বেলায় এগুলোর সঙ্গেই যোগ হয় ফাস্ট, জাঙ্ক ফুডদের অত্যাচার।
দাঁত যেহেতু কোনও সমতল আকারের গড়ন নয়, তাই এদের মাঝে গঠনগত ফাঁক, ভাঁজ থাকেই। খাবারের কণা সেই ফাঁকে ঢুকে দাঁতের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। খাবারের এই কণা থেকে দাঁতের ফাঁকে একটি আঠালো স্তর তৈরি হয়। ঠিকঠাক যত্ন না নিলে এই স্তর জমে জমেই ক্ষতি হয় দাঁতের।
দন্ত বিশেষজ্ঞের মতে, শ্বাসে দুর্গন্ধ, দাঁতে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্তপাত, মাঝে মাঝেই দাঁত নড়ে যাওয়া, দাঁতের ফাঁকে পাতর জমে যাওয়া এ সব লক্ষণেই মালুম হওয়া উচিত যে দাঁতের আয়ু কমতে শুরু করেছে। দৈনন্দিন জীবনে কিছু পদক্ষেপ করলেই আর খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যত্নবান হলেই এই সমস্যা কিছুটা আয়ত্তে আনা যায়। তবে দাঁতের ক্ষতি ইতিমধ্যেই কিছুটা হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন দ্রুত। অনেক সময় তা করতেও আমরা দেরি করি, ফলে দাঁতের ক্ষতি বাড়তে থাকে। তাই কিছু অভ্যাস আয়ত্তে আনুন।’’
কোন কোন অভ্যাস সুস্থ দাঁতের বন্ধুঃ
নিয়মিত দু’বার করে ব্রাশ করলে একটি ব্রাশ তিন সপ্তাহের বেশি ভাল থাকতে পারে না। তাই তিন সপ্তাহ অন্তর বদলে ফেলুন ব্রাশ।
ব্রাশ করার সময় খুব বেশি চাপ যেমন নয়, তেমনই খুব আলগা চাপও নয়। নরম অথচ দাঁতের ফাঁকে পৌঁছতে পারে এমন ব্রাশ ব্যবহার করুন।
সব খাবারের পরেই ভাল করে মুখ ধুতে হবে। এমনকি, মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় ও চকোলেট খাওয়ার পর ভাল করে মুখ ধোওয়ার অভ্যাস করান শিশুদেরও।
বাজারচলতি মাজন নয়, দাঁতের মাজন বাছার ক্ষেত্রে ভরসা রাখুন চিকিৎসকের উপর। দাঁতের অবস্থা বুঝে পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
গঠনগত কোনও ত্রুটি বা সমস্যা থাকলে, প্রথম থেকে সতর্ক হোন। শিশুদের দাঁতে কম বয়সেই কোনও সমস্যা ধরা পড়লে তার জন্যও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
লবঙ্গ দাঁতের জন্য ভাল। চিকিৎসার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই মুখে রাখুন লবঙ্গ।
অতিরিক্ত চা-কফি ও ধূমপান বন্ধ করতে হবে। তামাকের দাগ দাঁতের সৌন্দর্যের পথে বাধা। আর এই দাগ সহজে ওঠেও না। ধূমপানের আরও অনেক অস্বাস্থ্যকর দিক এমনিও রয়েছে। তাই দূরে থাকুন ধূমপান থেকে।
পিবিএ/এমআর