দামুড়হুদায় এস্কেভেটর দিয়ে টপ সয়েল কাটার অভিযোগ


পিবিএ চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার লক্ষীপুর কানাপুকুরের মাঠে চলছে লাখ লাখ টাকার মাটি বিক্রয়ের ধুম। ১৯৮৯ সালের ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন (সংশোধিত ২০০১) অনুযায়ী, কৃষিজমির টপ সয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। তারপরও মুক্তিযোদ্ধার বড়াই করে প্রশাসনের চোখে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এস্কেভেটর দিয়ে টপ সয়েল কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছে। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকায় । এদিকে চাঁদ আলী একজন মুক্তিযদ্ধা ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা ।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আজিমদ্দীনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদ আলী। লক্ষিপুর কানাপুকুর মাঠের নিজস্ব ২ একর জমির উপর পুকুর খননের নামে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে দেদারছে। এর সহযোগিতায় মাটি ব্যাবসায়ী ছানোয়ার হোসেন ।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় একটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে দামুড়হুদার রাজা ব্রিকস ও বন্ড ব্রিকস ভাটায় বিক্রি করছে । জমির মালিক চাঁদ আলীর কাছে অনুমতির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, দামুড়হুদার ইউএনও মৌখিক অনুমতি দিয়েছে। “আর আমার জমিতে আমি যা ইচ্ছা তাই করব” পারলে আমার নামে মামলা করবা করো। আমি ওসব ভয় পাই না। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা জানান , প্রায় ৬ মাস ধরে অবাধে ফসলি মাঠ খনন করে মাটির ব্যবসা চালিয়ে আসছে চাঁদ আলী। এতে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙে পড়ছে। হুমকির মুখে পাশের আবাদি জমিগুলো। এতে আশপাশের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রবল স্রোতে ফসলি মাঠের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আংশকা চাষীদের।

একই গ্রামের আনারুল ইসলাম জানান, আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা কেউ শোনে না। এস্কেভেটর মেশিনটি বন্ধের ব্যবস্থা করে আমাদের কৃষি জমিটুকু রক্ষা করবে কে? অবৈধ পুকুর খননের নামে ভাটায় মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। কিন্তু দেখার কেউ নেই ।

যেখানে হাইকোর্ট রিট অনুসারে পুকুর খনন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সহানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আদালত। তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না পুকুর খননের নামে মাটি কাটা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা র্নিবাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, পুকুর খননের জন্য চাঁদ আলীকে কোন ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত এ কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়াও তিনি বলেন, অবৈধ ভাবে পুকুর খননের বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।

পিবিএ/টিটি/জেডআই

আরও পড়ুন...