দিনাজপুরে একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে ১৬ গ্রামের মানুষ

পিবিএ ফুলবাড়ী: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একটি সেতুর অভাবে ছোট যমুনা নদীর দুই পাড়ের ১৬ গ্রামবাসীকে জরুরি প্রয়োজনে দুই কিলোমিটারের পথ ঘুরতে হচ্ছে ৭ কিলোমিটার। এতে অর্থ ও সময় দুই-ই নষ্ট হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে নদীর দুইপাড়ের গ্রামবাসীকে। তবে গ্রামবাসীদের দুদর্শা লাঘবের কথা চিন্তা করে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছয়টি রডসিমেন্টের পিলার দিয়ে বাঁশ-কাঠের সেতু নির্মাণ করেন গত তিন বছর আগে।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে উপজেলার ৬নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদীর পূর্বপ্রান্তের পলিপাড়া ও পশ্চিমপ্রান্তে হরহরিয়ারপাড় এলাকার মধ্যে সংযোগ সেতু না থাকায় নদীর পূর্ব পাড়ের পলিপাড়া, চকপলিপাড়া, হিন্দুপাড়া, চকপাড়া, ডাড়ারপাড়, চন্ডিপুর, দুর্গাপুর, বারাইপাড়া ও বৈরাগীপাড়া এলাকাবাসীকে জরুরি প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে কাজের জন্য নদীর পশ্চিম পাড়ের দৌলতপুর এবং হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়সহ এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য মাদিলাহাট ও খয়েরবাড়ি হাটে যেতে দুই কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে সাত কিলোমিটার। এতে এলাকাবাসীর অর্থ ও সময় দুই-ই নষ্ট হচ্ছে। একইভাবে নদীর পশ্চিম পাড়ের হরহরিয়ার পাড়, গোয়ালপাড়া, মধ্যমপাড়া, পানিকাটা, মন্ডলপাড়া, ডাঙ্গা, চেয়ারম্যানপাড়া ও কুশলপুর গ্রামবাসীকে পূর্ব পাড়ের পার্শ্ববর্তী বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, বগুড়া, গাইবান্ধা, রাজশাহী যেতে হলে ঘুরতে হচ্ছে ৭কিলোমিটার পথ।

স্থানীয়রা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মাস্টার নিজ উদ্যোগে পলিপাড়া ও হরহরিয়ারপাড়ার মধ্যে নদী পাড়াপাড়ের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ছোট যমুনা নদীর ওপর ছয়টি পিলার দিয়ে বাঁশ ও কাঠের সেতু নির্মাণ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে রোদ-বৃষ্টিতে বাঁশ-কাঠের খুঁটিসহ পাটাতনগুলো পচে নড়বড়ে হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। শুষ্কমৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী ওই নড়বড়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে পারলেও বন্যার সময় চলাচল হয়ে যায়।

সেতুর পূর্বপ্রান্তের হরহরিয়ারপাড় গ্রামের শমসের আলী (৭০), অর্চনা রাণী (২৭), খয়েরবাড়ী এলাকার রফিকুল ইসলাম (৫১), পূর্বপ্রান্তের স্বদেশ দাস (২৫) ও কনক রায় (১৮) বলেন, একটি সেতুর অভাবে ইউনিয়ন পরিষদের জরুরি কাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ হাটবাজারে দুই কিলোমিটারের পথ ঘুরতে হচ্ছে ৭কিলোমিটার পথ।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডল মাস্টার বলেন, এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই নিজ উদ্যোগে রড ও সিমেন্টের ছয়টি পিলারসহ বাঁশ-কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করেন। স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদে আলোচনা করে সাড়া পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, আগামীর সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনাসহ দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

পিবিএ/ওআই/হক

আরও পড়ুন...