পিবিএ ডেস্কঃ তিনি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। ১৯৬৬ সাল থেকে তার অভিনয় জীবনের শুরু। নাটকে অভিনয় করেই পরিচিত হয়েছেন সবার কাছে। নাটকের পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। দিলারা জামান ১৯৪৩ সালের ১৯ জুন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম রফিকউদ্দিন আহমেদ এবং মায়ের নাম সিতারা বেগম।
ভারত বিভাগের পর তারা যশোর জেলায় চলে আসে। তিনি ঢাকার বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। স্কুলেই তিনি প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। স্কুল পেরিয়ে তিনি ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন। বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ফখরুজ্জামানের সাথে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন। তাদের দুই মেয়ে- তানিয়া ও যুবায়রা। দুই মেয়ের মধ্যে তানিয়া পেশায় ডাক্তার এবং যুবায়রা পেশায় আইনজীবি।
তাছাড়া দিলারা জামানের একজন পালক ছেলে সন্তান রয়েছে, যার নাম আশফাক। দিলারা জামান শিক্ষকতা দিয়ে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথম টেলিভিশনে অভিনয় করেন ১৯৬৬ সালে ত্রিধরা নাটকে। ১৯৯৩ সালে তিনি মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চাকা-এ অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি।
২০০৮ সালে তিনি মুরাদ পারভেজ পরিচালিত চন্দ্রগ্রহণ চলচ্চিত্রে ময়রা মাসী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি একই চলচ্চিত্রের তার সহশিল্পী চম্পার সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।
পিবিএ/এমএস