পিবিএ ডেস্ক: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা জুনে রেকর্ড বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেট। রাজধানীর পালাম এলাকায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেট জানিয়েছে, ইতিহাসে এই প্রথম এত গরম পড়েছে দিল্লিতে। ঘেমেনেয়ে একসা হচ্ছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। আগামী তিন দিন এই শহরেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
তবে মঙ্গলবার (১১ জুন) থেকে ধুলোঝড় ও বজ্রপাতে অস্বস্তিকর এ অবস্থা থেকে দিল্লির লোকদের মুক্তি মিলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর।
স্কাইমেটের আবহাওয়াবিদ মহেশ পালাওয়াত জানান, দিল্লির পালামে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা জুনে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালের ৯ জুন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে দিল্লিতে এযাবতকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯৯৮ সালের ২৬ মে, ৪৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যদিও চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে মরুভূমির রাজ্য রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সেখানে এ মৌসুমে তাপমাত্রা নিয়মিত ৪৮ ডিগ্রির উপরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট এল ডোরাডে গত সপ্তাহে এক তথ্যে জানায়, বিশ্বের ১৫টি উষ্ণতম স্থানের মধ্যে ১১টিই ভারতে। বাকি চারটি পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানে।
এর আগে ২০১৬ সালের মে মাসে রাজস্থানের পালোদিতে ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৩.৮ ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা এখন প্রায় নেই বললেই চলে। বরং তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বাড়বে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ,পূর্ব মেদিনীপুরেও ভ্যপসা গরম ও আদ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। পশ্চিমের জেলাগুলাতে বিশেষ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণাবর্ত নেই। তাই বর্ষা দেরিতেই আসবে। আরব সাগরে একটা নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। তবে তার প্রভাবে সাইক্লোন হলেই সেটার প্রভাব বঙ্গে পড়বে কি না তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। আগামী তিনদিনে তাপপ্রবাহে পুড়বে শহর। পারদ থাকবে ৩৭ কিংবা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সঙ্গে বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের কারণে থাকবে চরম আর্দ্রতা। যার ফলে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করবেন শহরবাসী।
পিবিএ/এএইচ