পিবিএ ডেস্ক : ভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে সহিংসতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে পৌঁছেছে। আজ (বুধবার) সকালে দিল্লির জিটিবি হাসপাতাল সূত্রে ওই তথ্য জানা গেছে। এদিকে, সহিংসতায় আহতদের নিরাপত্তা ও সুচিকিৎসা ইস্যুতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মুরলীধরের বাসায় মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে শুনানি হয়েছে।
রাহুল রায় নামে এক ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ বিচারপতি মুরলীধর নিজ বাসায় শুনানি করেন। শুনানির সময়ে দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার অলোক কুমার ও ডিসিপি ক্রাইম রাজেশ দেব উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্ট সহিংসতাপ্রবণ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে বলেছে। এছাড়া মুস্তাফাবাদ এলাকার আল-হিন্দ হাসপাতালে পৌঁছানো আহতদের বড় সরকারী হাসপাতালে পৌঁছনোর নির্দেশ দিয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছে।
আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী সুরুর মান্দার বিচারককে জানান, আহতদের বিপুল সংখ্যক লোক আল হিন্দ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এই হাসপাতাল সবচেয়ে কাছে হওয়ার জন্য আহতরা এখানে পৌঁছান। কিন্তু হাসপাতালটি খুব ছোট হওয়ায় সেখানে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরে ওই আইনজীবী আল হিন্দ হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আনোয়ারের ফোনে বিচারককে কথা বলান। স্পিকার ফোনে ডা. আনোয়ার আহতদের অবস্থা সম্পর্কে আদালতে বিবরণ দেন। এরপরেই বিচারকরা তৎক্ষণাৎ আহতদের ওই হাসপাতাল থেকে বের করে অন্য বড় হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিচারপতি মুরলীধর ফোনেই পুলিশের ডিসিপিকে আহতদের অন্য হাসপাতালে ভর্তি করা এবং তাদের নিরাপত্তায় যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারপতি বলেন, পুলিশ বাহিনী আল হিন্দ হাসপাতালে পৌঁছেছে। আহতদের অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। আদালতকে বলা হয় আহতদের জিটিবি হাসপাতাল, পান্ত হাসপাতাল বা মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে। বিচারকরা এতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সহিংসতাপ্রবণ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের অবস্থা ও তাদের চিকিৎসার বিষয়ে আদালত পুলিশকে স্থিতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে। আজ দুপুর আড়াইটায় ফের ওই মামলার শুনানি হবে। পার্সটুডে
পিবিএ/জেডআই