পিবিএ ডেস্ক: অফিসে টানা ৮-৯ ঘণ্টা এসির ঠাণ্ডায় বসে কাজ করার পর বাড়িতে ফিরে পাখার হওয়া যেন গায়েই লাগতে চায় না! তাই বাড়িতেও এয়ারকন্ডিশনার ছাড়া চলবে না। আসলে, আমরা ধীরে ধীরে এয়ারকন্ডিশনারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। কিন্তু এয়ারকন্ডিশনারের প্রতি এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন সারাক্ষণ এসিতে থাকার কয়েকটি স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নেই:
১. যারা দিনের বেশির ভাগ সময় বা অন্তত টানা ৯-১০ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কাটান, তাদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত এসির ব্যবহার শ্বাসতন্ত্রের নানা সংক্রমণকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. অতিরিক্ত এসির ব্যবহার কনজাংটিভাইটিস (conjunctivitis) এবং ব্লেফারাইটিস-এর (blepharitis) মতো চোখের একাধিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া যারা চোখে লেন্স ব্যবহার করেন, তাদেরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
৩. অতিরিক্ত এসির ব্যবহার বেশ কয়েকটি রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা দিনের বেশির ভাগ সময় বা অন্তত টানা ৯-১০ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কাটান, তাদের মধ্যে আর্থাইটিস, ব্লাড প্রেসার বা নানা ধরণের স্নায়ুর সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
৪. অতিরিক্ত এসির ব্যবহার বা দীর্ঘ ক্ষণ এসিতে থাকার ফলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
৫. দীর্ঘ ক্ষণ এসিতে থাকার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬. একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দীর্ঘ ক্ষণ থাকেন, তারা মাথা ব্যথা বা মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় বেশি ভোগেন।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থেকেও নিজেকে সুস্থ রাখার উপায়:
. ঘরের তাপমাত্রা ২১-২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ঘরের তাপমাত্রা যেন তখনওই ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম না থাকে।
. শীতের মৌসুমে এসির ব্যবহার না করাই ভালো।
. ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন।
. মাঝে মধ্যেই মুখে, হাতে পানি দিন।
. প্রয়োজনে হালকা চাদর গায়ে জড়িয়ে রাখুন।
পিবিএ/আরাআই