দীর্ঘ সময় ধরে স্বামীরা কাজ করলে মূল্য দিতে হয় স্ত্রীদের!

পিবিএ ডেস্ক: যে পুরুষরা দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে কাজ করেন তাদের স্ত্রীরা অনেক বেশি অবসাদ ও অস্থিরতায় ভোগেন। কিন্তু একইভাবে যে নারীরা দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে বা ঘরে কাজ করেন তাদের স্বামীদের ওপর একইরকম প্রভাব পড়ে না। অস্ট্রেলিয়ার কর্মজীবি পরিবারগুলোর ওপর চালানো নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে। গবেষণাটির সহকারী গবেষক অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী লিন ক্রেইগ বলেন, “পুরুষদের চাকরির চাহিদাগুলো তাদের স্ত্রীদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু বিপরীতক্রমে নারীরা দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে তাদের স্বামীরা ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হন না। কারণ, আমার ধারণা, নারীরা পরিবারকে সচল রাখার দায়িত্বটিও পালন করে থাকেন।”

১৯৬০ এর দশকের পর থেকে পুরুষরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানো শুরু করেছেন। তবে এরপরও নারীরা এখনো ঘরের কাজে সপ্তাহে অন্তত ৫ ঘন্টা বেশি সময় ব্যয় করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যখন পুরুষরা দীর্ঘ সময় ধরে (সপ্তাহে ৫০ ঘন্টার বেশি) বাইরে কাজ করে তখন তাদের স্ত্রীরা অস্থিরতায় ভোগেন এবং নিজেকে ঘরের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রেখে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। নারীটি ঘরের বাইরে কাজ করতে যান বা না যান অথবা ফুল টাইম কাজ করেন নাকি পার্টটাইম কাজ করেন সব ক্ষেত্রেই একই দৃশ্য দেখা যায়।

আর পুরুষরা বেশি সময় ধরে বাইরে কাজ করলে নারীদেরকেই ঘরের কাজে বেশি সময় দিতে হয়। উদাহরণত, নারীদেরকেই রাতের খাবার তৈরি বা বাচ্চাদের গোসল করানোর মতো দয়িত্বগুলো পালন করতে হয়। তবে প্রধান ইস্যুটি হলো, আগের প্রজন্মের চেয়ে বর্তমানে কর্মজীবিদেরকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি সময় কর্মস্থলে কাটাতে হয়। আর এ বিষয়টি পরিবারগুলোর ভালো থাকার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। ক্রেইগ বলেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মস্থলগুলো আরো বেশি চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠছে। আর দম্পতিরাও কর্মক্ষেত্রে বেশি বেশি সময় ব্যয় করছেন। এর ফলে পরিবারের ওপর যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে তা খুব একটা ভালো হয় না।” আর তাছাড়া কর্মজীবিদের এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। অথচ পিতৃত্ব বা মাতৃত্বকালীন এবং অসুস্থতাজনিত বা অবকাশ যাপনের জন্য ছুটি পাচ্ছেন অনেক কম। ফলে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরের বাইরে তাদের দুজনের দুটি ফুলটাইম চাকরি এবং পরিবার সামলানোর ফুলটাইম চাকরিটিসহ একইসঙ্গে মোট তিনটি চাকরি নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ করতে হচ্ছে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...