ত্বকের কোমলতা আমাদের সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে নানা কারণেই আমাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। যা দেহের সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি নানা রকম শারীরিক সমস্যারও সৃষ্টি করে। তাছাড়া এর ফলে দেহে ফাটা দাগও দেখা যায়। রেখার মতো এ দাগগুলো ঘাড়ে, বগলে, পেটে, কোমরে, উরুতে, নিতম্বে কিংবা স্তনে হয়ে থাকে। যা খুবই বিচ্ছিরি দেখায়। ওজন বৃদ্ধি ছাড়াও গর্ভাবস্থায় দেহে ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক হতে পারে।
এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন, যা সবসময় কাজে দেয় না। তবে এক্ষেত্রে দুটি ঘরোয়া উপাদান রয়েছে, যেগুলো স্ট্রেচ মার্ক কমাতে দারুণ কাজ করে। স্ট্রেচ মার্ক কমানোর ঘরোয়া উপায় দুটি জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে স্ট্রেচ মার্ক থেকে মুক্তি পাবেন-
ক্যাস্টর অয়েল : ত্বক ও চুলের জন্য ক্যাস্টর অয়েল জাদুকরী ভূমিকা রাখে। শরীরের ফাটা স্থানে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে ফলে ধীরে ধীরে দাগ দূর হয়ে যায়। এজন্য নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল ফাটা স্থানে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসেজ করে ব্যবহার করুন। এরপর পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ফাটা স্থান ঢেকে রাখুন এবং হিটিং প্যাড ব্যবহার করে ঢেকে রাখা স্থানে সেঁক দিন। একমাসের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়বে।
ডিমের সাদা অংশ : ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য সুপারফুড।
ত্বকের ফাটা দাগে নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত টাইট হতে থাকে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের ফাটা দাগ দূর হয়ে যায়।
পাশাপাশি লেবুর রস, আলুর রস, অ্যালোভেরা জেল, এপ্রিকটস, ব্ল্যাক টি এবং অরগ্যান অয়েল ব্যবহার করতে পারেন শরীরের ফাটা স্থানে। যে উপাদানটিই ব্যবহার করুন না কেন, নিয়মিত করতে হবে। ধৈর্য্য ধরে ত্বকের যত্ন নিলে ধীরে ধীরে দাগ কমতে শুরু করবে।
পাশাপাশি খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বেরি, কাঁচা বাঁধাকপি, ভিটামিন সি জাতীয় ফল, কিউই ফল, বাঙ্গি, মটর, মরিচ, ব্রকলি, আনারস, পালং শাক, টমেটো, শালগম ইত্যাদি খেতে হবে। এতে শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলস দূর হবে।