পিবিএ: বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে করোনাকালের এই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে বিএনপি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা না দেয়ায় ব্যালটে দলটির প্রার্থীদের প্রতীক থাকছে।
আর এদিন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী হওয়ায় নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছিল দলটি। কিন্তু তা নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দুই সংসদীয় আসনে মোটরসাইকেল ছাড়াও গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের দিন এই দুই আসনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অপরাধের বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য চারজন বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এই ভোট ঘিরে ভোটারদের তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যায়নি।
ওই দুই সংসদীয় আসনে ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে স্থগিত করা হয়। এখন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থেকে এ নির্বাচন করছে ইসি। ১৫ জুলাই বগুড়া-১ আসনের এবং ১৮ জুলাই যশোর-৬ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধান নির্ধারিত ১৮০ দিন শেষ হতে যাচ্ছে।
এর আগে ইসি সচিব মো. আলমগীর জানান, ওই দুই আসনে নতুন করে কোনো মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রয়োজন নেই। যেসব প্রার্থী ছিলেন এবং যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সে অবস্থা থেকেই আবার কার্যক্রম শুরু হবে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে, ‘সংসদ ভাঙিয়া যাওয়া ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হইলে পদটি শূন্য হইবার নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত শূন্যপদ পূর্ণ করিবার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে এই দফার নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত মেয়াদের শেষ দিনের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
গত ১৮ জানুয়ারি আবদুল মান্নান মারা গেলে বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে তিন লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন ভোটার। প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের সহধর্মিণী সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. রনি (বাঘ), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক)।
আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা যাওয়ায় যশোর-৬ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে দুই লাখ তিন হাজার ১৮ জন ভোটার। এই আসনের প্রার্থীরা হলেন হলেন- আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদার (নৌকা), বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান হাবিব (লাঙ্গল)।
পিবিএ/এসডি